সম্প্রতি লতা মঙ্গেশকরের গান ‘এক প্যায়ার কি নাগমা হ্যায়’ গেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান রাণু মণ্ডল। এমনকি হিমেশ রেশমিয়া রাণু মণ্ডলের সঙ্গে দুটি গান রেকর্ড করেছেন দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গেছেন।
রানু মণ্ডলকে নিয়ে নানা গুজবও ছড়ানো হচ্ছে। সলমন খান রাণু মণ্ডলকে ৫০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন এবং তাকে দিয়ে দাবাং থ্রি-তে গানও করাতে চলেছেন। চলছে এমন গুজবও।
তবে রানু মণ্ডল সম্পর্কে লতা মঙ্গেশকরকে বলা হলে প্রথমে তিনি তার গান গেয়ে জনপ্রিয় হওয়ার খবরে আনন্দ প্রকাশ করেন। যদিও পরে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি আমার নাম ও কাজ থেকে উপকৃত হন তবে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বোধ করি।’
লতা মঙ্গেশকর আরও বলেন, ‘তবে আমি এও অনুভব করি যে সাফল্যের জন্য অনুকরণ কোনও নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই পন্থা নয়। আমার গান বা কিশোর কুমার মহম্মদ রফি বা আশা ভোঁসলের গান গেয়ে হয়তো কিছুদিনের জন্যে নজর কাড়া সম্ভব, কিন্তু এই চমক দিয়ে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না।’
টেলিভিশনের মিউজিক শোগুলিতে প্রতিযোগীরা যেভাবে অন্যের গান গেয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হন তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের নাইটএঙ্গেল। তিনি বলেন, ‘এত জন আমার গানগুলো এত সুন্দর করে গান গায়। তবে সাফল্যের প্রথম ঝলকের পরে তাদের মধ্যে কতজনের কথা মানুষ মনে রাখে? আমি কেবল সুনিধী চৌহান এবং শ্রেয়া ঘোষালকেই জানি।’
উচ্চাকাঙ্ক্ষী গায়ক-গায়িকাদেরপরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আসল হোন। আমার এবং আমার সহকর্মীদের এভারগ্রিন গানগুলি গাইতেই পারেন। তবে এক সময়ে গায়ক বা গায়িকাকে তার নিজের গানটির সন্ধান করতে হবে এবং সেই গান গেয়েই জনপ্রিয় হতে হবে।’
লতা মঙ্গেশকর নিজের বোনের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আশা যদি নিজের স্টাইলে গান গাওয়ার বিষয়ে জোর না দিতেন, ‘তবে তিনি চিরকাল আমার ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকতেন। একজন ব্যক্তির নিজস্ব প্রতিভা কতটা দূরে তাকে নিয়ে যেতে পারে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ আশা।’
তথ্য সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা