আপডেট: মার্চ ৯, ২০১৯
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্বল্প সুদে গৃহঋণের আওতায় আনাসহ কয়েকটি শর্ত শিথিল করে পুনরায় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
গত ৬ মার্চ অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার স্বাক্ষরিত এ বিষয়ে সংশোধিত প্রজ্ঞাপনটি ৭ মার্চ জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর আওতায় সরকারি কর্মচারীরা ৫ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ-নির্মাণ পাবেন।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসকে গত বছরের ৩০ জুলাই জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে এ ঋণের আওতায় না রাখলেও নতুন প্রজ্ঞাপনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আগের প্রজ্ঞাপনে ঋণ নেয়ার যোগ্যতা হিসেবে কর্মচারীদের বয়সসীমা চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর সর্বনিম্ন ৫ বছর ও সর্বোচ্চ ৫৬ বছর করা হলেও পরিবর্তিত প্রজ্ঞাপনে সর্বোচ্চ ৫৬ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৮ বছর করা হয়েছে।
সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ বিষয়ে অর্থ বিভাগ থেকে গত ৩০ জুলাই ইতোপূর্বে জারিকৃত পরিপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে উক্ত পরিপত্রের আওতায় ইতোমধ্যে গৃহীত কার্যব্যবস্থা বহাল থাকবে। এই নীতিমালা বাস্তবায়নে কোনো অস্পষ্টতা দেখা দিলে তা সরকার, তথা অর্থ বিভাগ এবং বাস্তবায়নকরী ব্যাংক/ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও আবেদনপত্র যাচাই ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে গৃহনির্মাণ ঋণ সেলের কার্যক্রম ঠিকমতো শুরু না হওয়ায় তাতে বিলম্ব হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর দুই ব্যক্তিকে মনোনীত করে এই ঋণের কার্যক্রম শুরু করে মন্ত্রণালয়। এরপর ২৩ ডিসেম্বর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ ঋণের জন্য মনোনীত হয়েছেন মাত্র ৮ জন। তাই এই ঋণকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য বেশকিছু শর্ত শিথিল করলো