রাজধানীর তেজগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে ঘর বেধেঁছেন ছিন্নমুল কিছু মানুষ। এখানে তাদের জন্য নেই স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা বা গোসলের ব্যবস্থা। পথের ধারেই চলে রান্না, ঘুমানো। পথের ধারেই বেড়ে উঠছে তাদের সন্তানেরা।
বেসরকারি সংস্থা ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক র্দূযোগসহ নানাকারণে গত কয়েকবছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। ভিটেমাটি সব হারিয়ে নিঃস্ব এ মানুষগুলোর বড় একটি অংশের গন্তব্য হয়ে ওঠে রাজধানী।
কোয়ালিশন ফর দি আরবান পুওর এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা বলেন, ‘তাদের ঠিকানা নেই, সেজন্য নাগরিক পরিচয়পত্র থেকে তারা বঞ্চিত, নেই জন্মনিবন্ধনও।’
নীতি ও কর্মকৌশলের মধ্যকার ফারাককেই এর জন্য দায়ী করছেন জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সাইন্সে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মঈনুল ইসলাম বলেন, জনসংখ্যা নীতিতে যেভাবে বলা আছে- নগর জনসংখ্যাকে ব্যবস্থাপনায় নেয়া হবে। কিন্তু কি ব্যবস্থা নেয়া হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে কর্মকৌশলে বলা নেই। এই মানুষগুলোকে নগরের বাইরে কিভাবে কাজের সাথে সম্পৃক্ত করা যায় যদি সে ধরনের কোনো কর্মসূচি নেয় যায়, নিরাপত্তা বেষ্টনি যদি আমরা করতে পারি তবে হয়তো মানুষগুলো এদিকে আসবে না।’
রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ কমাতে নগরকেন্দ্রিক উন্নয়ন কৌশল পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ডেইলি নেক্সট নিউজ/ফয়সাল