২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

 

বদলে যাচ্ছেন নায়িকা ময়ুরী

আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২২

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

বিনোদন প্রতিবেদক : বদলে যাচ্ছেন আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা ময়ুরী।  ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের আলোচিত এই চিত্রনায়িকা ময়ূরীর দেখা পাওয়া গেল অনেক দিন পর।
বর্তমানে সিনেমা থেকে দূরে থাকা এই অভিনেত্রী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এফডিসিতে এসেছিলেন।

এফডিসিতে এসে তিনি জানালেন পাল্টে গেছে তার জীবন। আরও জানালেন নিজের পরিবারের কথা এবং ছবি নিয়ে নিজের ভাবনা।
ময়ূরী বলেন, বিয়ের পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর সিনেমা করব না। আমার এখন দুই সন্তান। মেয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ছে আর ছেলের বয়স ৩ বছর। তাদের নিয়েই সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। মাঝে মাঝে দেশের বাহিরে যাওয়া হয়। সেখানে আমার ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী বসবাস করেন। আমিও সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছি।


আবার সিনেমাতে অভিনয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও বেশ কিছু কাজের অফার পাচ্ছি। কিন্তু সবগুলো না করে দিয়েছি। এখন সংসার নিয়ে ভাবছি কারণ অভিনয় এবং সংসার একসাথে দুইটি কাজ হয়না। আপনারা আমাকে সবসময় ভালবাসবেন, পাশে থাকবেন আর ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন।
তিনি আরও বলেন, এফডিসি নির্বাচন উপলক্ষে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, এটা অনেক ভালো লাগছে। আসলে সিনেমা তো অন্যরকম ভালো লাগার জায়গা, তাই এফডিসিতে বারবার আসতেই ভালো লাগে।

ময়ূরীর প্রকৃত নাম মুনমুন আক্তার লিজা। জন্ম ৬ই ডিসেম্বর ১৯৮৩ সালে,ঢাকার রামপুরায়। নবম শ্রেণিতে অধয়নকালীন তিনি চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন।

তিনি ২০০৭ সালে রেজাউল করিম মিলন নামে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর  উপজেলা পরিষদের  ভাইস-চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিণয়সূত্র আবদ্ধ হন ময়ূরী । সেই স্বামীর ঘরে তাদের মাইমুনা সাইবা অ্যাঞ্জেল নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৫ সালে তার স্বামী মারা যায়।  অতঃপর ২০১৭ সালে শফিক জুয়েল আহমেদ নামক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন তিনি।জুয়েলের ঔরশে ২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শেখ সাদ মুহাম্মদ ইনসাফ নামে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

১৯৯৮ সালে মাহমুদ নামক একজন প্রযোজকের হাত ধরে মৃত্যুর মুখে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়-জগতে পা রাখেন ময়ূরী। অতঃপর তার অভিনয় জীবন খুব দ্রুতগতিতেই এগিয়ে চলে সামনের দিকে। একের পর এক সিনেমায় বাজিমাত করে প্রচুর নাম কামান তিনি।

তিনি নারগিস আক্তার পরিচালিত চার সতীনের ঘর চলচ্চিত্রে অভিনেতা আলমগীরের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন।

কর্মজীবনে নিউ অপেরা সার্কাস নামে একটি সার্কাস দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
তিনি তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো.. মগের মুল্লক (১৯৯৯),কে আমার বাবা (১৯৯৯),হিরা চুনি পান্না (২০০০),
দুজন দুজনার (২০০০),কুখ্যাত খুনি (২০০০),
ভয়ংকর সন্ত্রাসী (২০০১),রংবাজ বাদশাহ (২০০১),ঢাকাইয়া মাস্তান (২০০২),আরমান (২০০২),মাস্তানের উপর মাস্তান(২০০২),আঘাত পাল্টা আঘাত (২০০২),কেয়ামত (২০০৩),হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩),বীর সৈনিক (২০০৩),কঠিন, সীমার (২০০৩),দুই বধু এক স্বামী (২০০৩),
ভাইয়ের শত্রু ভাই (২০০৪),চার সতীনের ঘর (২০০৫),হিরা আমার নাম (২০০৫),নিরাপত্তা চাই (২০০৫),ভন্ড ওঝা (২০০৬),তুমি আমার স্বামী (২০০৯),টপ সম্রাট,বাংলা ভাই প্রমুখ।

ময়ূরী খোলামেলা পোশাক, অশালীন অভিনয় ইত্যাদি কারণে ব্যাপক সমালোচিতও হন। তাকে অশ্লীল চলচ্চিত্রের নায়িকা বলা হয়ে থাকে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network