২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

 

মিরপুর ক্লাবের “ইন্ডাকশন অফ নিউ মেম্বারস্” প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক,ঢাকা : মিরপুর ক্লাবের “ইন্ডাকশন অফ নিউ মেম্বারস্” দ্বিতীয় পর্যায়ে খুবই চমৎকার আয়োজনের মাধ্যমে আজ শুক্রবার, অক্টোবর ১৬, ২০২০ তারিখ সন্ধ্যায় হোটেল ট্রপিকাল ডেইজি, গুলশান এ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত অক্টোবর ০৯, ২০২০ তারিখে একই জায়গায়, একই সময়ে এর প্রথম পর্যায় অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট এস এম মাহাবুব আলম ক্লাবের ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক ও বেনসিটির ধারনা উপস্হিত সদস্যদের মাঝে তাঁর স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে অত্যন্ত প্রানবন্ধভাবে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বেনটেনকে বা বেনসিটি এর কোনটাই প্রচলিত ধারনার সাথে যায় না। তাই কেউ বুঝিয়ে না দিলে এর সবই বোঝার বাইরে থেকে যাবে। ধারনার জন্ম ধারাবাহিকতা, উত্তরন এবং বিকশিত হওয়া সবই একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ তাই ধারনার স্বচ্ছতার জন্য মাঝে মাঝেই
“ধারনা”টিও ঝালাই করে নেয়া জরুরী। Induction প্রোগ্রাম এ ধারনার ঝালাইয়ের অংশবিশেষ।

মেধাবী ভালো মানুষদের জড়ো করে মেধা, বুদ্ধি, নেটওয়ার্ক আর অভিজ্ঞতার সম্মিলন ঘটিয়ে বড় কিছু করা যেতে পারে। মিরপুর ক্লাবের যাত্রা শুরুই হয়েছে এই ধারনাকে কেন্দ্র করে। প্রশ্ন হলো, কত বড় আর কী কী করা যেতে পারে? উত্তরটি নিহিত আছে একটি সংখ্যার উপর, কতগুলো ডেডিকেটেড মানুষ আছে তার উপর। আমরা এই সংখাটা নির্ধারণ করেছি, সেটি হলো ১০ হাজার। প্রয়োগধর্মী বিদ্যা ব্যবস্থায় বিদ্যা সবার আগে প্রয়োজন। মিরপুর প্রফেশনালস এন্ড এন্টারপ্রেনারস ক্লাবের প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটির নাম বেনটেনকে (BEN10K)। ভালো মানুষ তার নিজের শক্তি সম্পর্কেই জানে না। মিরপুর ক্লাব এই শক্তিকে টেনে বের করবে। মানুষের সমাজে বসবাসের মূল কারন নেটওয়ার্ক। কোন সমাজ কতটা উন্নত সেটা নির্ভর করে সেখানে থাকা মানুষগুলোর নেটওয়ার্ক কত মাত্রায় শক্তিশালী, তাদের নেটওয়ার্ক তৈরি করার উদ্দেশ্য আর নেটওয়ার্ক তৈরির উপাদানের উপর। বাংলাদেশের বৃহত্তর সমাজের মানুষগুলোর বড় বৈশিষ্ট্য হলো সবচেয়ে সুবিধাভোগী শ্রেণী সবচেয়ে আগে সমাজ ত্যাগ করেছে উন্নত সমাজ প্রাপ্তির প্রত্যাশায়। এক বিশাল সংখ্যক মানুষ শুধু সমাজ না, দেশও ত্যাগ করেছে এই উন্নত সমাজ প্রাপ্তির আশায়। তাই বলা যায় উন্নত সমাজের প্রত্যাশা আমাদের একটি বিশাল অব্যক্ত চাহিদা। মিরপুর ক্লাবের “বেনটেনকে” আসলে কাঙ্খিত সমাজের সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নির্মিত এক নতুন সমাজ (Community)। দশ হাজার করিৎকর্মা ভালো মানুষের নেটওয়ার্ক বেনটেনকে যার সম্পূর্ণ নির্মাণের সময় ধরা হয়েছে দশ বছর। আগামী পাঁচ বছরে মূল কাঠামো তৈরি হবে। বেনটেনকে কমিউনিটি ধারনার মূলে আছে মানুষ এবং পরিবার। তাই পুরো বেনটেনকে কমিউনিটি নির্মিত হবে মানুষে মানুষে শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। আর তাই পরিবার কেন্দ্রিক এই মানুষ গুলোর পারিবারিক নেটওয়ার্কও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারই পরিকল্পনার ছক নিয়ে আলোচনা হলো আজ। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিরপুর ক্লাবের উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় হবে তার প্রথম ধাপ।

মিরপুর প্রফেশনালস এন্ড এন্টারপ্রেনারস ক্লাব একটি পেশাজীবী এবং উদ্যোক্তাদের সংগঠন।সংগঠনটি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করছে। এটি একটি স্কলারদের সংগঠন। এতে আছে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আইসিটি বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, কনসালটেন্ট, গ্রুপ অব কম্পানিজের সিইও, ব্যাংকার, সিএফও, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা। এছাড়াও একটি উপদেষ্টা পরিষদ আছে যেখানে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। মিরপুর ক্লাব সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সুস্থ বিনোদন চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলার আয়োজন এবং বিজ্ঞান চর্চা করছে। এছাড়াও ক্লাবের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন কমিউনিটি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। মানবতার সেবায় করোনাকালীন সময়ে মিরপুর ক্লাবের “ফুড ব্যাগ প্রোগ্রাম” ছিল অনন্য উদ্দোগ যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। শুধু স্বল্পকালীন সহযোগিতাই নয়, তাদের জন্য নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে মিরপুর ক্লাব।

সংগঠনটি টেকসই উন্নয়নের মডেল এবং নাগরিক শীর্ষক বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করছে। সেই লক্ষ্যে তারা “উন্নয়ন ভাবনা” নামক প্রকল্পের আওতায় কিছু সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করছে, যেমন ১। নাগরিক দায়বদ্ধতা, ২। শব্দ দূষণ, ৩। দৃষ্টি দূষণ, ৪। মানসিক উৎকর্ষতা, ৫। সামাজিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উৎকর্ষতা সাধন, ৬। সামাজিক উন্নয়ন এবং গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, ৭। “জ্ঞান ভিত্তিক” সমাজ নির্মাণ, এবং ৮। সর্বোপরি “সামাজিক উন্নয়ন”।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্হিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সচিব ও হাইটেক পার্কের এমডি হোসনে আরা বেগম, আইডিয়া প্রজেক্টের পিডি জনাব মুজিবুল হক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব সুশান্ত কুমার সাহা, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব বিকর্ণ কুমার ঘোষ, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত পরিচালক ড. দৌলোতুন্নাহার খানম, ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর ডিএমডি জনাব তাহের আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি জনাব মোস্তাক আহমেদ সহ ক্লাবের সম্মানিত ভাইস প্রেসিডেন্টগণ, ডিরেক্টরস্ ও সদস্যবৃন্দ। বাফেট ডিনারের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network