১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

 

করোনায় কেমন হবে ‘কোরবানির পশুর হাট’

আপডেট: জুলাই ৫, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ ডেস্ক : দেশে ঈদ-উল-আযহা পালিত হবে এক মাসের কম সময়ের মধ্যে। প্রতিবছর এই সময়ের আগেই বাংলাদেশে গরু-ছাগল কেনা-বেচা বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে।

ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আসা অনেকটা কমে যাওয়ার পর গত কয়েক বছরে বাংলাদেশজুড়ে বহু ছোট-ছোট খামার গড়ে উঠেছে যার মূল লক্ষ্য থাকে কোরবানির পশুর হাট। খবর বিবিসি বাংলার

গ্রামাঞ্চলে বহু পরিবার শুধু কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য গরু-ছাগল লালন পালন করে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার গরু-ছাগল কেনা বেচা নিয়ে এক ধরণের সংকট হতে পারে বলে বিক্রেতা ও ক্রেতারা আশংকা করছেন।

ঢাকার কাছে সাভারে একটি সমন্বিত কৃষি খামার পরিচালনা করেন রাজিয়া সুলতানা।

প্রতিবছর ঈদ-উল-আযহার সময় তিনি ২৫ থেকে ৩০টি গরু বিক্রি করেন। এবার কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য তিনি খামারে কোন গরু রাখেননি।

রাজিয়া সুলতানা আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কোরবানির পশুর বাজার মন্দা হতে পারে।

প্রতিবছর কোরবানির ঈদের এক থেকে দেড় মাস আগে অনেক পরিচিত ক্রেতা মিস্ সুলতানার সাথে যোগাযোগ শুরু করেন।

কিন্তু এবার সে পরিস্থিতি নেই। রাজিয়া সুলতানা বলেন, পরিচিত ক্রেতাদের কাছ থেকে কোন সাড়া-শব্দ নেই।

সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে কোরবানি

রাজিয়া সুলতানা জানান, কিছু সরকারি কর্মকর্তা আছে যারা আমার কাছ থেকে প্রতিবছর গরু নিতো। করোনার কারণে তারা গরু কোথায় কোরবানি দিবে, মাংস কোথায় বিতরণ করবে – এসব নিয়ে তারা টেনশনে আছে।

মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে চরম স্থবিরতা নেমে এসেছে। বহু মানুষ হয়তো চাকরি হারিয়েছে নতুবা তাদের আয় কমে গেছে।

যাদের আয় আছে তারাও স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে পশু কোরবানি দেবার ক্ষেত্রে অনেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। যেমনটা বলছিলেন, ঢাকার বাসিন্দা চয়নিকা তাসনিম।

তিনি বলেন, কী করবো বুঝতে পারতেছি না। আরো ১৫দিন অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেব। নির্ভর করবে দেশের পরিস্থিতির উপরে।

দেশের প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর কোরবানির জন্য দেশে এক কোটি ১৭ লক্ষ পশু ছিল। এর মধ্যে গরু ৪৫ লাখ এবং ছাগল ও ভেড়া ৭১ লাখ।

এ বছরও হিসেব অনেকটা কাছাকাছি। কিন্তু এবার বাজার মন্দা হবে বলে বিক্রেতাদের আশংকা।

এক সময় ঢাকায় চাকরি করতেন রাসেল আহমেদ। বছর তিনেক আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাগেরহাটে একটি ছোট খামার দিয়েছেন তিনি।

ঈদ-উল-আযহাকে টার্গেট করে খামারে গরু লালন পালন করলেও বাজার কেমন হবে সেটি নিয়ে তার মনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

একদিকে পশু কেনা-বেচা, এরপর চামড়া কেনা -বেচাসহ ঈদ-উল-আযহা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সে জায়গায় একটি বড় ধাক্কা আসতে যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা আশংকা করছেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network