আপডেট: জুন ১১, ২০২০
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক,টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের স্বনামখ্যাত এসি বাস কোম্পানি সকাল-সন্ধ্যা এন্টারপ্রাইজ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। ১১ জুন বৃহস্পতিবার এসি বাসটির সকাল ০৬:০০ ঘটিকার প্রথম ট্রিপটি তারা সাড়ে চার ঘন্টা দেরীতে ১০:৩০ ঘটিকায় ছেড়েছে। ফলেে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। কোম্পানিটির এমন কান্ডে যাত্রীসাধারণ চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সকাল-সন্ধ্যার এই গাফিলতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন যাত্রীসাধারণ।
১১ জুন পূর্বঘোষিত সিডিউল অনুযায়ী সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় ছিলো সকাল-সন্ধ্যার দিনের প্রথম ট্রিপ।কিন্ত সেই সকালের ট্রিপটি টাঙ্গাইল থেকে যাত্রা শুরু করে সকাল ১০:৩০ ঘটিকায। কিন্তু ২০০ গজ যাওয়ার পরই গাড়িটি বিকল হয়ে পড়ে। মিস্ত্রী দিয়ে চলে সচল করার চেষ্ট। অসহায় যাত্রীরা সাড়ে চার ঘন্টা অপেক্ষা করার পর গাড়িটি বিকল হওয়ায় চরম বিরক্ত হয়ে পড়ে। অবশেষে কোম্পানির অন্য একটি গাড়িতে পুন:যাত্রা শুরু হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী সাধারণকে।
জানা যায়, সকাল-সন্ধ্যা এন্টারপ্রাইজ শুরু থেকে ভালো সার্ভিস দিয়ে আসছে।প্রথমে ঢাকা-টাঙ্গাইলের ভাড়া ছিলো ২৫০ টাকা। যাত্রী সংখ্যা বিবেচনায় না নিয়ে এক ঘন্টা পর পর কোম্পানিটি ঢাকা-টাঙ্গাইল সার্ভিস দিয়ে আসছিল। তখন এক মিনিটও এদিক-সেদিক করেনি কোম্পানিটি। ফলে অল্প দিনের মধ্যেই সার্ভিসটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে।২/৩ দিন আগেই আসন বুকিং হয়ে যেতো সকাল-সন্ধ্যা নামের এই এসি বাস কোম্পানির। এই সুযোগে কর্তৃপক্ষ ভাড়া বাড়িয়ে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করে দেয়। তবুও যাত্রীরা তা মেনে হয়। সম্প্রতি করোনাকালে আরেক দফা ভাড়া বাড়িয়ে করা হয় ৩০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা। অপরদিকে এসি কাউন্টারের পশ্চিম -উত্তরের ঝটিকা ও ধলেশ্বরী কাউন্টার থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল ভাড়া নেয়া হয় সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
৮০/ ৯০ টাকার জায়গায় ৪৫০ টাকা ভাড়া নেয়ার পরও সাড়ে চার ঘন্টা কাউন্টারে বসিয়ে রেখে বিলম্বে গাড়ি ছাড়ায় কোম্পানিটির প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে যাত্রী সাধারণের।
এ ব্যাপারে জনৈক যাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে নেক্সটনিউজকে জানান, সময় বাঁচিয়ে রিলাক্সে যাওয়ার জন্য আমরা ৭০/৮০ টাকার স্থলে এসি গাড়িতে ৪৫০ টাকা ভাড়া দেই। সাড়ে চার ঘন্টা দেরীতে গাড়ি ছাড়ছে আজকে (১১.৬.২০২০)। এভাবে সার্ভিস দিলে আমরা আর সকাল-সন্ধ্যা গাড়িতে ভ্রমন করবোনা।
কথা হয়, সকাল-সন্ধ্যা কাউন্টারের ম্যানেজারের সাথ। তিনি বলে,, করোনার জন্য যাত্রী কম। তাই ছাড়তে দেরী হয়েছে। টাঙ্গাইল শহরের ব্যাপারী পাড়া বসবাসকারী অপর একজন মহিলা যাত্রী নেক্সটনিউজকে বলেন, ” যাত্রী কম হলে সার্ভিসটি বন্ধ রাখুক।আমাদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রেখে আমাদের সময় নষ্ট করার কোনো নৈতিক অধিকার তাদের নেই।
যাত্রী সাধারণ সকাল-সন্ধ্যা সার্ভিসটির চরম গাফিলতি ও অনিয়মের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল-ঢাকা রুটে সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান সকাল-সন্ধ্যা এন্টারপ্রাইজ পরিবহনটিতে জেলার স্বচ্ছল,শিক্ষিত ও ভদ্র সামর্থ্যবান যাত্রীরা ভ্রমন করেন।