২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

 

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর

আপডেট: মে ১১, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক,টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ঘরবাড়িতে পরপর দুইদিন হামলা-ভাংচুর ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মারাত্মক আহত আব্দুর রাজ্জাক(৫৮) এর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে গোপালপুর থানায় মামলা হয়েছে। গত ৮ ও ১০ মে উপজেলার বীরনলহরা গ্রামে পরপর দুইদিন এই ঘটনা ঘটেছে বলে গোপালপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনসাধারণ জানিয়েছে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে , গোপালপুর উপজেলার বীরনলহরা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের ছেলে সাকিব হোসেনকে একই গ্রামের নাসির উদ্দিন, ঝন্টু মিয়া,আব্দুল মালেক,জহির উদ্দিনসহ আরো লোকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে আহত করে।সাকিবের আর্তচিৎকার তাঁর চাচা আব্দুর রাজ্জাক এগিয়ে আসলে তাঁকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক আহত করে। এতে ৭/৮ হন আহত হয়।

আহত আব্দুর রাজ্জাককে প্রথমে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে টাঙ্গাইল শেখহাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকার ট্রমা মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে আহত আব্দুর রাজ্জাক ট্রমা সেন্টারের আইসিইউতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আব্দুর রাজ্জাককে রাম দা দিয়ে দুই পা,বুক ও মাথা কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আহত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী ছবেদা বেগম বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।বাদিনী ছবেদা বেগম নেক্সটনিউজকে জানিয়েছেন, তার মামলাটি পুলিশ এফআইআর ভুক্ত না করে উল্টো হামলাকারীদের মামলা এফআইআর করেছে। ছবেদা বেগম আরো জানালেন, আমার অভিযোগটির বিষয়ে পুলিশ সোচ্চার না হওয়ায় ঐ লোকজন আবারো একদিন পর ১০ মে আমাদের বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মর্তুজা নেক্সটনিউজকে জানান, ১০ মে বিকেল চার ঘটিকার সময় অতর্কিতে হামলা চালিয়ে আমার বাড়িঘর,শামছুল হকের বাড়িঘর ও অটোরিকশা, রুবেলের বাড়িঘর, গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের পিএ সোহেল রানার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে তারা হামলা,লুটপাট ও ভাংচুর করে।হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের খবর পেয়ে গোপালপুর থানার এস আই রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত) কাইয়ুম খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৮ মে তারিখের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।১০ মে তারিখের হামলা-ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম।অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে। ৮ মে তারিখের ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাকের মারাত্মক আহত হয়ে ঢাকার ট্রমা সেন্টারের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার খবর তার জানা নেই বলে জানান ওসি। এস আই রফিকুল ইসলাম জানান,হামলা-ভাংচুরকৃত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি।

তবে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী ছবেদা বেগমের মামলা গ্রহন না করে উল্টো হামলাকারীদের মামলা গ্রহন করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে ছবেদার পরিবার। এদিকে ছবেদা বেগমের প্রতিপক্ষের লোকদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network