২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

 

পুলিশের দাবি মাদক ব্যবসায়ী, স্বজনদের দাবি চাঁদা না পেয়ে থানায় গণধর্ষণ

আপডেট: আগস্ট ৫, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
নেক্সট নিউজ প্রতিবেদকঃ

খুলনা রেলওয়ে থানায় এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসমান গনি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ওই তরুণী আদালতে অভিযোগ করেছেন। ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তারের অভিযোগে আদালতে তোলার পর ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী আদালতের কাছে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন।

তরুণীর অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে থামার পর তাকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা। পরে, রাতে তাকে রেলওয়ে থানায় আটকে রেখে ‘পালাক্রমে ধর্ষণ’ করেন রেলওয়ে থানার ওসি ওসমান গনি পাঠান, এসআই গৌতম কুমার পাল, এএসআই নাজমুল এবং কনস্টেবল মিজান ও হারুন।

মাদক আইনে গ্রেপ্তার দেখানোর পর শনিবার ওই তরুণীকে খুলনা মহানগর হাকিম আতিকুস সামাদের আদালতে তোলে রেলওয়ে পুলিশ। সেখানেই তরুণী বিচারকের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।

তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেন। আজ় সোমবার, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তরুণীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. অঞ্জন চক্রবর্তী তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করতে চান না।

এদিকে, তরুণীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ‘গেল ২রা আগস্ট তরুণী ট্রেনে করে যশোর থেকে খুলনায় পৌঁছায়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে নামার পর কর্তব্যরত রেল পুলিশরা তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। গভীর রাতে ওসি ওসমান গনি তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এরপর পালাক্রমে আরও চার পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন শনিবার পাঁচ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তারের কথা বলে একটি মাদক মামলা দিয়ে তাকে আদালতে তোলা হয়।’

স্বজনদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু, রাজি না হওয়ায় এখন হুমকি দেয়া হচ্ছে। চাঁদার টাকা না পেয়ে থানায় ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয় নির্যাতিত তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে।

খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাওপ্ত কর্মকর্তা ওসমান গনি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমনকি মাদকের মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে ওই মিথ্যা অভিযোগ করছে বলেও মন্তব্য করেন ওসি ওসমান গনি।

এদিকে, এই ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে, মেয়েটির পরিবারের দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network