২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

 

উদ্যোক্তা তৈরীর মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করছে ই-ক্লাব

আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক : সমষ্টিগত কর্মপরিকল্পনার বেসরকারি উদ্যোগ হিসাবে ২০১৭ সালে বেকারত্ব মোচনে উদ্যোক্তাদের নিয়ে গড়ে উঠে ”ই-ক্লাব “ (অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব বাংলাদেশ) । ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর “ই-ক্লাবের” অফিসিয়াল রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। উদ্যোক্তাদের নিয়ে গড়ে ওঠা “ই-ক্লাব“ (অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব বাংলাদেশ) ব্যাতিক্রম এমন একটি সংগঠন যেখানে অনলাইন ও অফলাইন সকল সদস্যদের জন্য একটি উন্মুক্ত নেটওয়ার্ক হবে , যার মূল লক্ষ্য দেশের সকল বেকারদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা এবং ক্লাব এর সদস্যদের নিজেদের মধ্যে ব্যাবসার নেটওয়ার্ক বাড়ানোর সাথে সাথে একে অন্যের বিভিন্ন প্রয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।

“ই-ক্লাবের “মূল লক্ষ্য হল যৌথ প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে ব্যাবসায়িক সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার সেবা প্রদান , ব্যবসায়িক বান্ধব পরিবেশ তৈরি ,নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধি এবং মালিকানাধীন ব্যাবসায়ের বৃদ্ধিতে উৎসাহিত ও সমর্থন করা। এছাড়া ব্যবসায়িক গৃহীত এবং প্রস্তাবিত উদ্যোগের রক্ষনাবেক্ষন ও বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের মালিকানাধীন ব্যবসায়ের প্রতিযোগিতামূলক সমর্থন জ্ঞাপন করা।
“ই -ক্লাব ” শুধু ব্যবসায়িক দিক থেকে নয় দরিদ্র কর্মসংজ্ঞস্থান যুক্ত উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বিতা অর্জন এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধনে তাদের অবদান বাড়াতে সাহায্য করাও তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দ্যেশ্যের আরেকটি বহিঃপ্রকাশ।
“ই -ক্লাব” পরিচালনা কার্যক্রম এর গাঠনিক চিত্রের ব্যাখ্যা –
“ই -ক্লাব” একটি সরকার অনুমোদিত ক্লাব । উদ্যোক্তাদের নিয়ে গড়ে উঠা এই ক্লাবের পরিচালনায় কাজ করছে সম্মিলিত ভাবে কয়েকটি পরিষদ বা কমিটি রয়েছে । তাদের পরিচালনায় মূলত সুনির্দিষ্ট ভাবে “ই -ক্লাব” এগিয়ে চলছে প্রতিনিয়ত। এই পরিচালনা কার্যক্রমের সাথে যারা যুক্ত তারা হলেন:
উপদেষ্টা পরিষদ – এই পরিষদ পরোক্ষ ভাবে কোনো একটি প্রতিষ্ঠান বা ক্লাবের সকল কার্যাবলী পরিচালনা করেন। যে কোনো কাজে প্রতিষ্ঠানের সভাপতিত্ব এর দায়িত্বে যারা থাকবেন তাদের পরামর্শ প্রদান থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের নৈতিক অবস্থা ঠিক রাখা ,প্রতিষ্ঠানকে নিয়মমাফিক পরিচালনা করাও তাদের দায়িত্বের অংশ।
পরিচালনা পরিষদ – পরিচালনা পরিষদের উপর মূলত একটি প্রতিষ্ঠানের দেখভাল করার পুরো দায়িত্বই বর্তায়। এখানে প্রতিষ্ঠান বা ক্লাবের একদল মেম্বার যারা নীতিমালা প্রণয়ন ,পরিচালকদের সাথে অংশীদার হয়ে সাংগঠনিক বিষয়ের পরিচালনা, বিশেষত খন্ডকালীন ক্লাবের সার্বিক দায়িত্ব ও নিয়মনীতি প্রবর্তন এবং বাস্তবায়ন করেন। বর্তমানে পরিচালনা পরিষদে ৯ জন সদস্য রয়েছে।
ফোরাম কমিটি – ফোরাম হল এমন একটি জায়গা বা স্থান ,গোষ্ঠী বা পরিস্থিতি যেখানে সাধারণ মানুষের ধারণা বিনিময় বা মানুষের সমস্যা বা বিশেষ কোনো বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়।এই প্লাটফর্ম অনলাইন অফলাইন দুইভাবেই হতে পারে। বর্তমানে “ই -ক্লাবে “৪ টি ফোরাম রয়েছে।
১. ই-ক্লাব ওমেন্স ফোরাম
২. ই-ক্লাব ইয়ুথ ফোরাম
৩. ই-ক্লাব ব্র্যান্ড ফোরাম
৪. ই-ক্লাব এফ – কমার্স ফোরাম
কার্যনির্বাহী কমিটি – এই কমিটি এমন একটি কমিটি যা ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানের যে কোনো সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা রাখে এবং এই সিদ্ধান্ত এর কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করেন।কার্যনির্বাহী কমিটি মূল পরিচালকদের একটি গোষ্ঠী। কার্যনির্বাহী কমিটি তাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের বিষয়গুলির কার্যকারিতা ,বোর্ড গৃহীত নীতিমালার দৈনিক প্রয়োগের তদারকি এবং বোর্ড সুশাসন পদ্ধতিগুলোর প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখার বিষয়গুলি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সর্বদা দায়বদ্ধ। বর্তমানে এ কমিটিতে ৯ জন সদস্য রয়েছে।
স্ট্যান্ডিং কমিটি – “ই-ক্লাবে “বর্তমানে ১৩ টি স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে। স্ট্যান্ডিং কমিটির মূল উদ্দেশ্য হল কার্যনির্বাহীর কমিটির ক্ষমতার অধীনে নীতিমালা বিবেচনা ও সুপারিশ করা এবং বিভাগ অনুযায়ী বিভিন্ন কার্য সুনির্দিষ্ট ভাবে সম্পাদন করে ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখা। ১৩টি কমিটি ই-ক্লাবের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network