১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

 

গাইবান্ধায় টানা বৃষ্টি কারনে বাধেঁ আশ্রয় নেয়া মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে

আপডেট: জুলাই ২৩, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

রওশন হাবিব, গাইবান্ধা থেকে : তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারনে জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও বানভাসিদের মাঝে তীব্র খাবার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে করতোয়া নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়া নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী,জুমারবাড়ীসহ ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদীর ডান তীরঘেঁষা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি চরম হুমকির মুখে রয়েছে। এছাড়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া এসব মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও পয়োনিষ্কাশন সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী জানান, গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ৬০টি গ্রামের এক লাখ ৪৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জেলা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ৬১টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য সরকারি সহায়তা অব্যাহত আছে। আমরা বন্যাকবলিত মানুষদের ২৪ ঘণ্টা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network