৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

 

নীলফামারী জেলা সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে – পুলিশ সুপার

আপডেট: জুন ১৭, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

মোঃ নাঈম শাহ্, নীলফামারী থেকে : বিভিন্ন অপরাধ বন্ধ করার জন্য পুরো জেলা সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম পিপিএম। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছে জেলা পুলিশ।

গোটা দেশে যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে তখন নীলফামারী জেলা পুলিশের সদস্যরা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে জেলার মানুষকে সচেতন ও করোনা থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার থেকে দূরে রাখতে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে মানুষের বিপদের দিনে পাশে দাড়িয়ে ‘জনতার পুলিশ’ উপাধির যথার্থতা প্রমান করে দিচ্ছে জেলা পুলিশ । মহামারি করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাবিশ্বের যখন বেশামাল। সেই করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সারাদেশের পুলিশ প্রশাসন যখন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তার সাথে তাল মিলিয়ে নীলফামারীতেও করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে জেলা পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

নীলফামারী জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জনগনের দোড়গোড়ায় সেবা পৌছে দিয়ে বিভিন্ন মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও রহস্য উদঘটন করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ইনটেলিজেন্ট লেট পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করেছে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম পিপিএম। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে, বিভিন্ন মামলার রহস্য উদঘন সহ নানা কাজ সম্পাদন করার জন্য নীলফামারী জেলা পুলিশের লেট ইনটেলিজেন্ট পুলিশিং সার্ভিসের চালু করেছে।

সূত্র মতে আরো জানা যায়, চলমান করোনা প্রতিরোধের লক্ষে উদ্ভুদ্ধ যেকোনো জরুরী পরিস্থিতি মোকবেলার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) নীলফামারীকে সভাপতি করে ২০ সদস্য বিশিষ্ট কুয়িক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া করোনা মোকবেলায় প্রতিটি থানায় থানা অফিসারকে সভাপতি করে ৯ সদস্যের ম্যানেজম্যান্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। করোনা সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকানে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে চর্তুভুজ চিহ্ন দেওয়া, রাস্তায় জীবানুনাশক ছিটানো কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় জেলা পুলিশের অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বাজার মনিটরিং, মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি , জেলার প্রবেশদ্বারে নজরদারি সহ নানা কার্যক্রম হাতে অব্যাহত রয়েছে জেলা পুলিশের।

আরো জানা যায়, কেউ যেনো একবেলা না খেয়ে থাকে সেজন্য মধ্যরাতে জেলার অসহায় কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় দেড় হাজার মানুষকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশের সহায়তায় সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করে প্রায় ২০ হাজার কৃষি শ্রমিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। যা প্রায় গোটা বিভাগের মধ্যে পাঠানো কৃষি শ্রমিকের মধ্যে অর্ধেক।

এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি ইউনিটে নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত অফিসার ও ফোর্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পিপিই প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশ সদস্যদের জন্য ০৮টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং পুলিশ সদস্যদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম পিপিএম বলেন, জেলা পুলিশের সহায়তায় প্রায় বিশ হাজার কৃষি শ্রমিক পাঠানো হয়েছে। যার ফলে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বেকারত্ব থেকে রক্ষা পেয়েছে। জেলা পুলিশের উদ্দ্যোগে পুুরো জেলাকে সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় জেলা পুলিশের নানা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষার জন্য পিপিই প্রদান করা হয়েছে। পুলিশ সদস্য কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তাদের জন্য আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকবেলায় আমার জেলা পুলিশের সদস্যরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network