২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

 
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে সাপ্তাহিক সমাজচিত্র’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪’ পেয়েছেন ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কালিহাতীর সাংবাদিক হারুন গুরুতর অসুস্থ টাঙ্গাইলে গভীর রাতে পুলিশের হানা।। ১০ জুযাড়ী গ্রেফতার পানি বিপর্যয়ের আশংকা ।। ২০৩০ সালে হারিয়ে যাবে শতভাগ নিম্নাঞ্চল নেক্সটনিউজে সংবাদ প্রকাশ, মন্দির মেরামতের আশ্বাস।।  কালিহাতীর ইউএনওকে সাধুবাদ ধরেরবাড়ী মুসলিম হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন।। বাবুল আহম্মেদের মনোনয়ন দাখিল কালিহাতীতে বালিবাহী ট্রাকের ধাক্কায় কালিমন্দির চুরমার।।ক্ষুব্ধ হিন্দুসম্প্রদায়

টাঙ্গাইলে ট্রিপল মার্ডার: দেয়ালে লেখা এমনটা হতো না যদি আমার সুমি আমার কাছে থাকতো’ মনির হোসেন,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনাটি পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ঘটেছে বলে ধারণা করছে পরিবারের লোকজন, প্রতিবেশী ও পুলিশ। লাশ উদ্ধার হওয়া বসতঘরের দেয়ালে দেখা যায় রক্ত দিয়ে লেখা কিছু কথা। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমি আমার কাছে থাকতো, এই সবকিছুর জন্য সুমির বাবা দায়ী’। শনিবার(৩০ অক্টোবর) সকালে দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের বাড়ি থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় তিন বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কা জনক। নিহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের মাতা জামেলা বেগম (৫৫), স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫) ও কালিহাতী পৌরসভার সাতুটিয়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল (২৮)। প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের ভাইয়ের স্ত্রী শাহনাজ বলেন, আমার শাশুড়ি সকালে নামাজ পড়ার পর হাঁটতে বের হন। আজ অনেক বেলা হয়ে গেলেও তার ও সুমীদের খোঁজ নিতে যাই। ঘরের মূল দরজায় তালাবন্ধ থাকায় বাইর থেকে তাদের অনেক ডাকাডাকি করলেও কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে সাড়ে সাতটার দিকে অন্যদের খবর দেই। পরে অন্যরা শাবল এনে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। আর শিশুটিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে চাকু ও ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। জমিলা বেগমের ভাই মোখলেছ বলেন, শাহজালালের সঙ্গে সুমি এক বছর আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরে ভাগনে তার শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে কয়েক মাস আগে সুমিকে ফিরিয়ে এনে আবার ঘরসংসার করে তিনি কিছু দিন আগে সৌদি চলে গেছেন। প্রতিবেশীরা বলেন, জয়েন বিদেশ চলে যাওয়ার পরেও সুমির সঙ্গে শাহজালালের যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব ছিল। সেই যোগাযোগ থেকে রাতের কোনো এক সময় হয়তো শাহজালাল সুমিদের ঘরে প্রবেশ করে থাকতে পারে। মনির হোসেন টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ০১৭৬৮-৬০৬৩৩২ ৩০/১০/২১ ইং

আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

মনির হোসেন,টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনাটি পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ঘটেছে বলে ধারণা করছে পরিবারের লোকজন, প্রতিবেশী ও পুলিশ।

লাশ উদ্ধার হওয়া বসতঘরের দেয়ালে দেখা যায় রক্ত দিয়ে লেখা কিছু কথা। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমি আমার কাছে থাকতো, এই সবকিছুর জন্য সুমির বাবা দায়ী’।

শনিবার(৩০ অক্টোবর) সকালে দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের বাড়ি থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় তিন বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কা জনক।

নিহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের মাতা জামেলা বেগম (৫৫), স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫) ও কালিহাতী পৌরসভার সাতুটিয়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল (২৮)।

প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের ভাইয়ের স্ত্রী শাহনাজ বলেন, আমার শাশুড়ি সকালে নামাজ পড়ার পর হাঁটতে বের হন। আজ অনেক বেলা হয়ে গেলেও তার ও সুমীদের খোঁজ নিতে যাই। ঘরের মূল দরজায় তালাবন্ধ থাকায় বাইর থেকে তাদের অনেক ডাকাডাকি করলেও কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে সাড়ে সাতটার দিকে অন্যদের খবর দেই। পরে অন্যরা শাবল এনে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। আর শিশুটিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে চাকু ও ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

জমিলা বেগমের ভাই মোখলেছ বলেন, শাহজালালের সঙ্গে সুমি এক বছর আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরে ভাগনে তার শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে কয়েক মাস আগে সুমিকে ফিরিয়ে এনে আবার ঘরসংসার করে তিনি কিছু দিন আগে সৌদি চলে গেছেন।

প্রতিবেশীরা বলেন, জয়েন বিদেশ চলে যাওয়ার পরেও সুমির সঙ্গে শাহজালালের যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব ছিল। সেই যোগাযোগ থেকে রাতের কোনো এক সময় হয়তো শাহজালাল সুমিদের ঘরে প্রবেশ করে থাকতে পারে।

মনির হোসেন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
০১৭৬৮-৬০৬৩৩২
৩০/১০/২১ ইং

মনির হোসেন,টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনাটি পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ঘটেছে বলে ধারণা করছে পরিবারের লোকজন, প্রতিবেশী ও পুলিশ।

লাশ উদ্ধার হওয়া বসতঘরের দেয়ালে দেখা যায় রক্ত দিয়ে লেখা কিছু কথা। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমি আমার কাছে থাকতো, এই সবকিছুর জন্য সুমির বাবা দায়ী’।

শনিবার(৩০ অক্টোবর) সকালে দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের বাড়ি থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় তিন বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কা জনক।

নিহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের মাতা জামেলা বেগম (৫৫), স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫) ও কালিহাতী পৌরসভার সাতুটিয়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল (২৮)।

প্রবাসী জয়েন উদ্দীনের ভাইয়ের স্ত্রী শাহনাজ বলেন, আমার শাশুড়ি সকালে নামাজ পড়ার পর হাঁটতে বের হন। আজ অনেক বেলা হয়ে গেলেও তার ও সুমীদের খোঁজ নিতে যাই। ঘরের মূল দরজায় তালাবন্ধ থাকায় বাইর থেকে তাদের অনেক ডাকাডাকি করলেও কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে সাড়ে সাতটার দিকে অন্যদের খবর দেই। পরে অন্যরা শাবল এনে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। আর শিশুটিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে চাকু ও ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

জমিলা বেগমের ভাই মোখলেছ বলেন, শাহজালালের সঙ্গে সুমি এক বছর আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরে ভাগনে তার শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে কয়েক মাস আগে সুমিকে ফিরিয়ে এনে আবার ঘরসংসার করে তিনি কিছু দিন আগে সৌদি চলে গেছেন।

প্রতিবেশীরা বলেন, জয়েন বিদেশ চলে যাওয়ার পরেও সুমির সঙ্গে শাহজালালের যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব ছিল। সেই যোগাযোগ থেকে রাতের কোনো এক সময় হয়তো শাহজালাল সুমিদের ঘরে প্রবেশ করে থাকতে পারে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network