১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

 
শিরোনাম
কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটি’র যাত্রা।। সভাপতি মতিন, সম্পাদক হেলাল তোফাজ্জল হোসেন তুহিন কারিগরি স্কুলে জাতীয় শিশু দিবস পালিত টাঙ্গাইলের এলেঙ্গাতে জুয়ার ব্যবসা রমরমা।। ১৪ জুয়াড়ী গ্রেফতার রমজানে খোলা থাকছে স্কুল।। আপীল বিভাগের আদেশ টাঙ্গাইলে এটিএম লুঙ্গি কারখানায় আগুন।। কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি রমজানে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিপণন করা হবে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রমজানে বন্ধ থাকবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় : হাইকোর্ট যে কোনো অর্জনের চেয়ে অর্জনটা ধরে রাখা আরও কষ্টসাধ্য : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী কালিহাতী প্রেসক্লাবের অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

টাঙ্গাইলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হোম ডেলিভারি দিচ্ছে ফুডপান্ডা

আপডেট: মে ৫, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

 নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক,টাঙ্গাইল : লকডাউনকৃত টাঙ্গাইল শহরে ইদানিং হরহামেশাই চোখে পড়ছে ফুডপান্ডার রাইডারদের। ফুডপান্ডার লোগোসমেত দৃষ্টিনন্দন ব্যাগ,মাস্ক,হ্যান্ডগ্লোভস পরিধান করে বাই সাইকেল অথবা মোটর বাইক নিয়ে শহরের পথ-ঘাট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কোম্পানিটির ডেলিভারিম্যান রাইডাররা।অনলাইনে অর্ডার দেয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে বাসায় পন্য পৌঁছে দিচ্ছে তারা।

করোনার এই মহামারীকালে হোম ডেলিভারির সেবা পেয়ে খুশি টাঙ্গাইলবাসী।আর এই হোমডেলিভারীতে কোনোরকম সার্ভিস চার্জ নিচ্ছেন না ফুডপান্ডা নামের অনলাইন বেইজড কোম্পানিটি। জানা যায়, জার্মানভিত্তিক সফ্টওয়ার বেইজড কোম্পানিটি দেশের প্রায় ৫০ টি জেলায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সারাবিশ্বের ৫৪ টি দেশে ফুড পান্ডা একই নিয়মে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী ফুডপান্ডা টাঙ্গাইলে কার্যক্রম শুরু করে।টাঙ্গাইল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের অদূরে ঢাকা রোডের মিম সিকদার গার্ডেনের দ্বিতীয় তলায় ফুডপান্ডার আঞ্চলিক কার্যালয়। জেলা শহরে অল্প দিনের মধ্যে রাইডারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দেড় শতাধিক। বর্তমানে করোনার কারনে রাইডারের সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলে জানালেন কর্মকর্তারা।

ফুডপান্ডা মূলত খাবার সরবরাহের কাজেই বেশী সাড়া ফেলেছে।তবে ইদানিং তারা মেডিসিন,গ্রোসারী সামগ্রীও হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। ফুড পান্ডা পুরোপুরি অ্যাপসনির্ভর অনলাইনে পন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।কেউ যদি ফুডপান্ডার মাধ্যমে ঘরে বসেই পন্য কিনতে চান তাকে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ফুডপান্ডা আ্যাপসটি ইনস্টল করতে হবে।তারপর ইমেইল বা মোবাইল নম্বর দিয়ে লগইন করতে হবে। লোকেশনও সিলেকশন করতে হবে।এর পরেই যেকোন গ্রাহক সকাল ০৭:০০ ঘটিকার নাস্তার অর্ডার থেকে শুরু করে রাত ১১ঃ০০ পর্যন্ত যেকোন পন্য অর্ডার দিতে পারবেন। খাবার, ওষধ বা যেকোনো স্টেশনারি ও মনোহরী সামগ্রী অর্ডার করার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে গ্রাহক পেয়ে যাবেন তার কাংখিত পন্য। এ ক্ষেত্রে ফুড পান্ডা টাঙ্গাইল শহরের প্রায় ২০ টি রেস্টুরেন্ট,৭টির মতো ঔষধের দোকান ও জেনারেল স্টোরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ।

 

চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে ফুডপান্ডা নিজস্ব ট্যাব সরবরাহ করেছে। আর রাইডারদের কাছে আছে স্মার্ট ফোন। গ্রাহক অর্ডার দেয়ার অর্ধ সেকেন্ডের মধ্যে চলে যায় ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে। প্রধান কার্যালয় থেকে অতি অল্প সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট দোকান, নিকটতম রাইডার ও টাঙ্গাইল অফিসে মেসেজ চলে আসে।রাইডার গ্রাহকের পছন্দসই দোকানে গিয়ে পন্যটি নিয়ে গ্রাহকের বাসায় পৌঁছে দিয়ে যায়। এক্ষেত্রে গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে অতি সহজেই বাসা চিনে নিতে পারে রাইডাররা।

দিনদিন টাঙ্গাইলে ফুডপান্ডার হোম ডেলিভারি সেবা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাইডাররা মূলত স্বাধীন। তারা তাদের ইচ্ছেমত শিফ্ট নিয়ে কাজ করতে পারে। তারা প্রতি ডেলিভারিতে পান ২৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা।যারা প্রথম ব্যাচ তারা পাবেন ৩০ টাকা,দ্বিতীয় ব্যাচে ২৮ টাকা ও তৃতীয় ব্যাচের রাইডাররা পাবে ২৬ টাকা করে। প্রতি ১৪ দিন পরপর তারা তাদের পারিশ্রমিক পান। এতে করে প্রথম দিকে রাইডারদের মাসিক আয় হয় কমপক্ষে ৪৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা।অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আয় বাড়বে বলে জানালেন রাইডাররা।

এ বিষয়ে নতুন বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় রাইডার রোকনুজ্জামানের সাথে। শহরের দেওলা মহল্লায় তার বাড়ি।নিজের সাইকেল নিয়ে সে ফুডপান্ডায় রাইডার হিসেবে কাজ করে। সে প্রথম মাসে ৪৫০০ টাকা আয় করতে পেরেছে। বর্তমান মাসে তার ডেলিভারি বেশী হওয়ায় তার আয় হবে প্রায় ১০ হাজার টাকা বলে সে জানালো। কথা হয় খাইরুল ইসলামের সাথে। তার বাড়ি শহরের শিবপুরের পাছবেথইর গ্রামে। নিজের সাইকেল নিয়েই সে ফুডপান্ডায় ডেলিভারির কাজে যোগদান করেছে। করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে সে কাজ করে যাচ্ছে। এ কাজ তার কাছে অনেক ভালো লাগে বলে সে জানায়। নিরাল মোড়ে দেখা হয় পরান নামের এক তরুনের সাথে। সাইকেল নিয়ে সে ডেলিভারির কাজে যাচ্ছিলো।তার পিতার নাম আলম।থাকে শহরের নাহার নার্সিং হোমের কাছে আকুর- টাকুর পাড়া।সে ফুডপান্ডায় কাজ করে ভালো আছে।নিজের কাছে মোবাইল আছে।মোবাইলে অর্ডার নিয়ে বাসায় গিয়ে ডেলিভারি দিয়ে সে প্রশান্তি খুঁজে পায় বলে জানায়।

 

তবে রাইডারদেরকে প্রশিক্ষন দিয়েই মাঠে ছাড়ে ফুডপান্ডা। এ ব্যাপারে কথা হয় ফুডপান্ডার টাঙ্গাইল অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার কামরুল ইসলামের সাথে। নেক্সটনিউজকে তিনি বলেন, সেবাধর্মী এ কোম্পানিটি সার্ভিস চার্জ ছাড়াই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। হোম ডেলিভারীতে ফুডপান্ডা সারাবিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে। টাঙ্গাইলেও আমরা সে ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। কামরুল ইসলাম বলেন, ” প্রতিদিন ২/১ টা অর্ডার বাতিল হওয়ায় আমাদের বিরম্বনায় পড়তে হয়।ফ্রি হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে অর্ডার বাতিলের ক্ষতি পুষিয়ে উঠা আমাদের জন্য একটু কষ্টকর। করোনাকালে অর্ডার কমে গেলেও টাঙ্গাইলে প্রতিদিন প্রায় ২০০ অর্ডার পান তারা। মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে ফুডপান্ডার এ হোমডেলিভারী অনেক কার্যকরী বলে জানালেন গ্রাহকরা।শহরের সাবালিয়ার আব্দুল হামিদ নেক্সটনিউজকে জানান, আমি ফুডপান্ডায় অর্ডার দিয়ে ঘরে বসেি এক কেজি জিলেপী ও পিজা ক্রয় করেছি।সার্ভিসটি অনেক ভালো।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network