২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

 

গাইবান্ধায় বিপনিবিতান গুলোতে ঈদ কেন্দ্রিক কেনাবেচা জমে উঠেছে

আপডেট: জুলাই ৩১, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

রওশন হাবিব, গাইবান্ধা থেকে : ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। করোনাকালে দীর্ঘায়তি বন্যার ছোবলে মাসজুড়ে গাইবান্ধার দোকান-মার্কেটগুলোতে তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসায় বিপণিবিতানগুলোতে ঈদকেন্দ্রিক কেনাবেচা জমে উঠতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপৃরে মার্কেটগুলোতে গেলে দেখা যায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ও বন্যার ভয়াবহতা উপেক্ষা করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানুষ ছুটছে। সকলেই স¦াস্থ্য ঝুঁকি উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটা করতে চলে এসেছেন। আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলা শহরে মার্কেটগুলো এখন জমজমাট। বিগত ঈদ-উল ফিতরে লক ডাউনের কড়াকড়ি থাকায় বিশেষ করে শহরের ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা থেকে বিরত থাকলেও এবার তারাও ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্থ হয়ে পড়েছে। জেলা শহরের বিপনীবিতানগুলোতে এবং জুতার দোকানগুলোতে সকাল থেকেই গ্রাম-গঞ্জের ক্রেতারা ছেলেমেয়েসহ ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্থ সময় পার করছে। ফলে প্রতিটি দোকানেই এখন ক্রেতাদের ভীড় দেখা যাচ্ছে।

এদিকে ঈদের এই কেনাকাটার ভীড়ের সুযোগে বিক্রেতারা প্রতিটি জিনিসের দামই বেশী নিচ্ছেন বলে ক্রেতাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিপনীবিতানগুলোর পাশাপাশি শহরের পি.কে বিশ্বাস রোডের দু’পাশে ঈদ উপলক্ষে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানগুলোতে এবং গাউন মার্কেটের দোকানগুলোতে নিম্নআয়ের ক্রেতাদের ভীড় বেশি দেখা গেছে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের জামা-কাপড় ও জুতো বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে। স্টেশন রোড কাচারী বাজার এলাকার সান্দারপট্টি, পার্ক সংলগ্ন সড়কের পাশে কসমেটিকস্, মেহেদি, মেয়েদের কৃত্রিম নানা অলংকারের ক্রেতাও নেহায়েত কম নয়।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি সত্ত্বেও ক্রেতারা কোন স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। এমনকি অধিকাংশ ক্রেতাই কোন মাস্ক না পড়েই ঈদের কেনাকাটায় আসছেন। এতে জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

নেক্সটনিউজ/জেআলম

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network