আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২০
নেক্সটনিউজ ডেস্ক : চীনের ইয়াংৎজি নদীতে বন্যা হুবেই অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে৷ ইয়াংৎজি নদীতে গত পাঁচ দশকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সোমবার৷ এর মধ্যেই ২৮ হাজার বাড়িঘর চলে গেছে পানির তলায়৷ প্রাণ হারিয়েছেন ১৪১ জন৷ কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন৷ হুবেই অঞ্চলের পাশাপাশি তিব্বত ও চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
বন্যার ফলে ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ একদিকে করোনা সংকটের জেরে বন্ধ ছিল বাজার-হাট, এই বন্যা নতুন করে স্তব্ধ করছে চীনা অর্থনীতিকে৷
চীনের হুবেই অঞ্চলের শহর উহান থেকেই শুরু হয় করোনা সংক্রমণ৷ বর্তমানে এক কোটি দশ লাখ মানুষের শহর এই উহান আবার শিরোনামে৷ এবার শিরোনামে আসার কারণ ইয়াংৎজি নদীর বন্যা৷ উহান ছাড়াও হুবেই অঞ্চলের আরো কয়েকটি বড় শহর দিয়ে বয়ে চলে ইয়াংৎজি৷
বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম নদী ইয়াংৎজিতে এই ভয়াবহ বন্যা সামলাতে হুবেই ও জিয়াংশি অঞ্চলে এক লাখেরও বেশি কর্মী পাঠিয়েছে সরকার৷ এর মধ্যে রয়েছে সামরিক বাহিনীর সদস্য, চিকিৎসক ও উদ্ধারকারীদের দল৷ বালির বস্তা দিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন তারা৷
প্রতি বছরই চীনের এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি নামে৷ বন্যাও হয় কম-বেশি সব বছরেই৷ কিন্তু এই বছর জুন মাসের শেষ থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি৷ ১৯৬১ সালের পর থেকে এত ভয়াবহভাবে কখনো বাড়েনি ইয়াংৎজির জলসীমা৷
পরিবেশবিদরা বলছেন, কয়েক দশক ধরে গ্রীষ্মের তীব্রতা রোধ করতে সাহায্যকারী নদী, সংলগ্ন হ্রদ ও প্লাবনভূমির মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে নদীর বেশ কিছু বাঁধ৷ এমন আরো কয়েকটি কৃত্রিম নির্মাণের কারণে কয়েক দশক ধরে বন্যার হুমকি আরো বেড়েছে৷ পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা বহুদিন ধরেই এবিষয়ে সাবধান করে আসছিলেন৷ পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হিমালয়ের হিমবাহের দ্রুত গলে যাওয়াও ঝুঁকি বাড়াতে পারে৷