২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

 

নরসিংদীর সবজির চাহিদায় চাষিদের মুখে হাসি 

আপডেট: জুন ১১, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
হারুনুর রশিদ, নরসিংদী থেকে : সারা বিশ্বে করোনার প্রভাবে স্তব্ধতার ফলে বাংলাদেশও প্রভাবিত  গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সবজির ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত ছিল  লোকসানে জর্জরিত  নরসিংদীর কৃষকরা। এতে অনেক কৃষক সবজির বাগান পরিচর্যা বন্ধ করা সহ অনেকেই  সবজির  বাগান কেটে ফেলতে শুনা যায়,  লকডাউন তুলে নেয়ার পর নরসিংদীর পাইকারী বাজার গুলোতে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম এতে সবজির ন্যায্য মূল্য  পেয়ে তারা খুশি ।
 করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নরসিংদী জেলার পাইকারী সবজির বাজার   বারৈচা, নারায়ণপুর, রায়পুরার জঙ্গী শিবপুর, শিবপুর উপজেলা সদর, সিএন্ডবি বাজার, পালপাড়া বাজারে ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েন কৃষকরা পাইকারি  ক্রেতার অভাবে ব্যাপক দরপতন ঘটে সবধরনের-সবজির। গণপরিবহন সংকটের কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সবজির পাইকার /ক্রেতারা  বাজারে আসতে না পারায় বিক্রেতাদের করুন  অবস্থার সৃষ্টি হয়। করোনার এই পরিস্থিতিতে  সবজি উঠানো জন্য মজুরি সহ   বাজারে  বিক্রি করতে গিয়ে ভ্যানের ভাড়াও উঠাতে পারছিলেন না কৃষকরা। সবজির উৎপাদন খরচের চেয়ে বিক্রয়  মূল্য না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে কৃষক পরিবারের ।
গত ৩১ মে থেকে লকডাউন তুলে নেয়ার পর নরসিংদীর পাইকারী বাজারগুলোতে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির দাম। সবধরনের সবজির ন্যায্য দাম পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। এতে নতুন করে ফসলী জমির পরিচর্যা বাড়িয়েছেন বলে জানান বিক্রেতারা ।
আজ বৃহস্পতিবার (১১জুন) রায়পুরা উপজেলার  অন্যতম পাইকারী সবজির হাট রায়পুরা উপজেলায় জংগী শিবপুর  বাজার গুরে  দেখা যায় পাইকারি ক্রেতারা   কৃষকের বিভিন্ন ধরনের সবজি নিয়ে বাজারে আসার সাথে সাথে  তাদের  সবজি কিনতে বেপক আগ্রহ  দেখাচ্ছে  দরদামে মিলেগেলে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বাজারে প্রবেশের আগেই।
নরসিংদীর সবজি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়ে আসছিল প্রসিদ্ধ সবজি,  দেশব্যাপী খুচরা বাজারে সবজির চাহিদা বাড়ায় পাইকারি  ক্রেতারাও সবধরনের সবজি কিনতে দেখা যায় আগ্রহের সাথে , ৩১ মে লকডাউন তুলে নেয়ার ঘোষণা আসার পর থেকে প্রতিদিনই সবধরনের সবজির দাম বাড়ায় খুশি কৃষকরা। তবে সবজির বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেরে যাওয়ার সম্ভবনা থেকেই যাচ্ছে ।
বিক্রেতারা  প্রতিনিধি কে জানান, বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি  কাকরুল প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকা, চিচিংগা প্রতি কেজি ২০ টাকা, ঢেড়শ প্রতি কেজি ২০টাকা, বরবটি কেজি ২৫ টাকা, বেগুন ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি, লেবু প্রতি হালি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এছাড়া অন্যান্য ধরনের শাক-সবজিরও ন্যায্য দামে বিক্রি হচ্ছে।  পাইকারি ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানাযায়, সবজি  তুলনামূলক কম আসায়   বাজারে সবজির  চাহিদা বেশি থাকায় দাম দিয়ে হলেও নিতে হচ্ছে।  অপর দিখে পরিবহন ভাড়া বেরে যাওয়ায় চড়াদামে বিক্রি করতে হবে আমাদের আমার সবজি কুমিল্লায় পাঠানো হবে  তাই পরিবহন খরচ বেরে যাবে ফলে লাভের সংখ্যা কম হলেও ব্যাবসা চালিয়ে যে তেই হবে।
শাক-সবজির এমন দাম অব্যাহত থাকলে আমাদের কিছুটা হলেও  লোকসান কাটিয়ে উঠা সম্ভব ।
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network