আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৪
কিশোরীদের মেধা বিকাশে খেলাধুলা
………… মো: ছানোয়ার হোসেন
সুস্থ দেহ ও মন কাজের প্রতি আগ্রহ এবং কাজের গতি বাড়ায়। আর দেহ ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে কিশোরীদের মেধা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই । খেলাধুলার মাধ্যমে একজন কিশোরী শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা লাভের পাশাপাশি ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও নেতৃত্বের গুণ অর্জন করে। বর্তমান সময়ে শহরাঞ্চলে বেশির ভাগ বিদ্যালয়গুলোতে খেলার মাঠ নেই বললেই চলে।আর যে সমস্ত বিদ্যালয়ে মাঠ আছে তার কোন সদ্ব্যববহারও নেই।
বালিকা বা কিশোরী বয়সে খেলাধুলার প্রয়োজন কারণ:বালিকা বা কিশোরী বয়সের মেয়েরা খেলাধুলা না করলে নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত হয়। যেমন-
১. কৈশোরে অনেক মেয়ের হঠাৎ করে ওজন বাড়তে থাকে। মোটেও খেলাধুলা বা শারীরিক পরিশ্রম না করা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এজন্য দায়ী।
২.কৈশোর-তরুণ পর্যন্ত শরীরের হাড়ের ঘনত্ব সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়। এই ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে হাড় ক্ষয় কতটুকু হবে। আর এই ঘনত্ব তৈরিতে ব্যায়াম, খেলাধুলার ভূমিকা আছে।
৩. গবেষণায় দেখা যায়, শৈশব-কৈশোরে নিয়মিত খেলাধুলা করলে পরবর্তী জীবনে মেয়েদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ৬০ শতাংশ কমে।
৪. অল্প বয়সে খেলাধুলার অভাবে ওজন বৃদ্ধি পরবর্তীকালের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. খেলাধুলা ও ব্যায়াম কিশোরীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে-এটা প্রমাণিত। তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগ ও দক্ষতা বাড়ে।
ফিমেল ফরচুন পত্রিকা বিশ্বসেরা ৫০০ জন সফল নারী কর্মকর্তার ওপর জরিপ চালিয়ে দেখেছে, তাদের ৮০ শতাংশই কৈশোরে ছোটাছুটি করতেন, খেলতেন।
এ জন্য স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। সুস্থ দেহ ও মন কাজের প্রতি আগ্রহ এবং কাজের গতি বাড়ায়। আর দেহ ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলাধুলার মাধ্যমে একজন বালিকা -কিশোরী শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা লাভের পাশাপাশি ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও নেতৃত্বের গুণ অর্জন করে। বর্তমান সময়ে শহরাঞ্চলে খেলার মাঠ দিনে দিনে কমছে। যেই দু-একটি মাঠ আছে সেগুলোও ময়লার ভাগাড়ে পরিণত। পর্যাপ্ত মাঠ না থাকা ও মাঠের যথাযথ পরিচর্যার অভাব খেলাধুলা কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে বর্তমান প্রজন্ম হচ্ছে শারীরিকভাবে দুর্বল ও মানসিকভাবে বিষণ্ন। আশা করি, খেলাধুলার প্রচার ও উপযুক্ত মাঠের ব্যবস্থা করে বর্তমান প্রজন্মকে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক, শহীদ বীর উত্তম লে: আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা।