২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

 

শরিয়তপুরের নড়িয়া’র পিআইও’র উপর হামলায় গ্রেফতার ৬

আপডেট: জুলাই ৩, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক, শরীয়তপুর :প্রধানমন্ত্রী’র কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় মুজিববর্য উপলক্ষে গৃহহীন ও ভুমিহীনদের জন্য শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাঁচক গ্রামে ৩২টি গৃহনির্মান কাজের শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে ও আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ আহাদী হাসান এর খোঁজখবর নিতে শনিবার দুপুরে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মুলফৎগঞ্জ গেলেন, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান। সেখানে গিয়ে আহত পিআইও আহাদী হাসান’কে শান্তনা দিয়ে চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন।

এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবনি শংকর কর প্রমূখ।
উল্লেখ, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাঁচক গ্রামে প্রধানমন্ত্রী’র কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় মুজিববর্য উপলক্ষে গৃহহীন ও ভুমিহীনদের জন্য সরকারী জায়গায় ৩২টি ঘর নির্মান করা হয়েছে। নির্মান কাজের প্রায় ৯৮% শেষ পর্যায় এসে স্থানীয় জনৈক জাকির হোসেন নামে এক লোক ঐ প্রকল্পের জমি নিজেদের জমি দাবী করে সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার আদালত থেকে ঐ নালিশি জমিতে কাজ বন্ধ রাখার জন্য প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। নোটিশ প্রাপ্ত হয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহাদী হাসান তার অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল হোসেন, প্রকল্প দেখা শোনার দায়িত্বে নিয়োজিত রাসেল মাদবর, মিস্ত্রি মাসুদ ও রিফাত’কে সাথে নিয়ে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে ও প্রকল্প পরিদর্শন করতে সেখানে যান। খবর পেয়ে জমির মালিক দাবীদারের সমর্থক অর্ধশতাধিক নারী ও পুরুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহাদী হাসান মাথা ফেটে গুরুতর আহত সহ ৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে নড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে খোকন ছৈয়াল, বোরহান গোরাপি, সোহেল রানা তালুকদার, লিটন গোরাপি, আঃ রব বেপারী (মেম্বার) এবং পরে তুহিন নামে আরো ১জনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে ৬জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহাদী হাসান বাদী হয়ে ১৫জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০জনকে আসামী করে নড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহাদী হাসান বলেন, আমি সরকারের নির্দেশে সরকারী কাজ পরিদর্শনে গিয়ে ছিলাম। কোর্টের আদেশ পেয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদেরকে পাওনা পরিশোধ করতে ও প্রকল্প পরিদর্শন করতে যাই। এ সময় আমি ও আমার লোকজন হামলায় শিকার হই। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় মতি গোরাপীর ছেলেরা জমিটি ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে বিভিন্ন সময় কাজে বাঁধা দিয়ে আসছিল।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৬ জনকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network