২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

 

গাইবান্ধায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাদিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অর্থ দাবির অভিযোগ

আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

রওশন হাবিব, গাইবান্ধা থেকে : গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের অসহায় দরিদ্র অটোবাইক চালক বুলবুল সরকারের মেয়েকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের অশ্লীল ছবি ভিডিও ধারন করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিসহ নানা অপকর্মের দায়ে অভিযুক্ত মামলার আসামি ইয়াবা সেবনকারি তাজকিদুল ইসলাম জামিনে মুক্ত হয়ে ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি, মামলা তুলে নেয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। এছাড়া মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মো. নুরুজ্জামান আসামি তাজদিকুলের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় তাদেরকে অন্য মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এতে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই পুলিশ কর্মকর্তা মামলার বাদিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

এর প্রতিকার দাবিতে রবিবার (২৬ জুলাই) গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতার অসহায় মা হেলেনা বেগম ও ধর্ষিতার ভাই লিখিত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কাছে এই অন্যায়ের প্রতিকার ও তাকে পুনরায় গ্রেফতারসহ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবেশী হিরু মিয়ার পুত্র ইয়াবা সেবী ও মাদকাসক্ত তাজদিকুল ইসলাম তাদের বাড়িতে যাতায়াত করার সুবাদে তার মেয়ে ইলমা সিদ্দিকা (১৭) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এছাড়া গত ২ মার্চ তাজদিকুল সকাল ১১টার সময় ইলমাকে গাইবান্ধা স্টেডিয়ামে নিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এই টাকা না দিলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এসময় বিষয়টি অবগত হয়ে ধর্ষিতা ইলমা সিদ্দিকার পিতা গত ৫ মার্চ সদর থানায় একটি মামলা (নং ১৮) দায়ের করে। এই মামলার আসামি তাজদিকুল ২৪ জুন জামিন পাওয়ার পর থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এতে বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার্থে গত ২ জুলাই গাইবান্ধা সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী (নং ৮৪) করে। এতে আসামি তাজদিকুল ইসলাম আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী করতে থাকে। ফলে ওই পরিবারটি নিরুপায় হয়ে গত ৯ জুলাই পুলিশ সুপার বরাবরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে সদর থানার ওসিকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়ন। উপরন্ত তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তা আসামি তাজকিদুলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো তাদের কাছে টাকা দাবি করছে এবং নানাভাবে হয়রানিসহ হুমকি দিচ্ছে।

 

নেক্সটনিউজ/জেআলম

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network