আপডেট: জুলাই ২৪, ২০২০
রওশন হাবিব, গাইবান্ধা থেকে : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই তিনটি খাদ্য যা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত। আমরা বর্তমানে টিভি, সোসালমিডিয়া ও পত্রিকা সহ সর্বত্র দেখাতে পাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলে জিংক ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-ডি খেতে হবে। বর্তমানে করোনা গ্রাস করেছে বাংলাদেশ সহ গোটা বিশ্বকে। যতই দিন যাচ্ছে ততই নিজের চরিত্র পরিবর্তন করে মারাত্মক হচ্ছে করোনা ভাইরাস। এর যেহেতু টিকা বা কোনও ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিস্কার হয় নাই, তাই রোগ প্রতিরোধ ই একমাত্র উপায়।
জিংক: করোনা প্রতিরোধে জিংক অত্যান্ত প্রয়োজনীয় একটা খাদ্য। সুস্বাস্থের জন্য জিংক অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে, তাছাড়াও দেহের কোষ বৃদ্ধি, বিভাজন ও ডি এন এ উৎপাদনে যথেষ্ট ভুমিকা রাখে। ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। গরুর দুধে ও ডিমে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জিংক আছে। এছাড়া সবজী তে বিশেষ করে গম,ওটস,তিল,লাউ,ডাল ও ছোলায় আছে অনেক জিংক। কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, ও মুরগীর মাংসেও পর্যপ্ত জিংক আছে। জিংক করোনা প্রতিরোধে স্বীকৃত।
ভিটামিন-সি: ভিটামিন-সি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ভিটামিন সি পানিতে দ্রবনীয় যা খালি পেটে গ্রহন করলে শরীর ভাল ভাবে শোষন করতে পারে।ভিটামিন সি যেমন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি ফ্রি রেডিকেল এর ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে।ক্ষতিকারক টক্সিন শরীর থেকে বেড় করে দেয় ও সেল এর কার্যকারীতা বাড়ায়।পেয়ারায় আছে প্রচুর ভিটামিন-সি। গাড় সবুজ পাতা ও শাকসবজী তে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন-সি। ব্রকোলি, পেপে,স্ট্রবেরিতে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন-সি। কমলা, জাম্বুরা, কুল, লিচু তে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন-সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আনারস,লেবু,আম ও মরিচ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার। ভিটামিন-সি কোভিড ১৯ প্রতিরোধে যথেষ্ট স্বীকৃত। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার গুলো দ্রুত সুস্থ ও সতেজ করে।
ভিটামিন-ডি: সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মিতে পাওয়া যায় ভিটামিন-ডি। ২০মিনিট সুর্যের আলোতে অবস্থান করলে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি। তৈলাক্ত ও চর্বি যুক্ত মাছ স্যামন টুনা ও ম্যাককেরেল এ আছে প্রযোজনীয় ভিটামিন-ডি। দুধ ডিমে ও আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি। মাশরুম ও কড লিভার অয়েল ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ। ভিটামিন-ডি করোনা প্রতিরোধে স্বীকৃত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছাড়া ও সুস্থ হাড় দাত ও পেশির জন্য প্রয়োজন ভিটামিন-ডি। ভিটামিন-ডি ঘাটতি হলে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়া,ক্লান্তি বোধ করা,বিষন্নতা ও ঘা দেড়িতে শুকানো। ভিটামিন-ডি এর অভাব হলে যেকোনো সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন-সি,ভিটামিন-ডি ও জিংক অনেক কার্যকরী।