১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

 

নজরদারিতে ছিলো সাহেদ : র‌্যাব ডিজি

আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ ডেস্ক : রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো: সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক। আজই সাহেদকে ডিএমপি’র একজন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার ( ১৪ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় একটি নদীর পাড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তিনি কখনই র‌্যাবের নজরদারির বাইরে ছিলেন না। সাহেদ সাতক্ষীরার স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলেও জানান র‌্যাব ডিজি। তবে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন।

দুপুরে র‌্যাব সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘সাহেদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ঢাকা ত্যাগ করার পর আবারো ঢাকায় এসেছেন। তিনি কুমিল্লা, মৌলভীবাজার ও সাতক্ষীরায় আত্মগোপনের চেষ্টা করেছেন। তাছাড়া সাহেদ শুরুতেই তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়। তিনি একেক সময় একেক ধরনের যানবাহন ব্যবহার করেছেন এমনকি তিনি ট্রাকে চড়েও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।’

তবে যখনই তিনি কোন সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়েছেন আমরা তখনই সেই সব এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছি বলেও জানান র‌্যাব মহাপরিচালক। র‌্যাবের ডিজি আরো জানান, সাহেদকে ঢাকায় আনার পরই তার ব্যক্তিগত একটি অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়, যেখান থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকার মতো জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। সাহেদের নামে প্রায় ৬০টির মতো মামলা রয়েছে বলেও জানান মহাপরিচালক।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব ডিজি বলেন, বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে সেটা ব্যবহার করেও তিনি প্রতারণা করতেন। সাহেদের কাছ থেকে যারা প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন তাদেরকেও আইনি সহায়তা করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান র‌্যাব ডিজি। রিজেন্ট হাসপাতাল কাণ্ডে মামলার ১৭ আসামীর মধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরকেও দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।

প্রসঙ্গ: গত ৬ জুলাই র‌্যাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। যেখান থেকে করোনা নমুনা পরীক্ষার বিভিন্ন ভুয়া রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়। এই হাসপাতালটি প্রতিটি নমুনা পরীক্ষার জন্য ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা করে নিতো। তাছাড়া রোগী ভর্তি করে তাদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা আদায় করা হতো। পরে হাসপাতালটির দুইটি শাখায় সিলগালা করে দেয়া হয়।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network