২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

 

দিনাজপুরে জেলা আওয়ামী লীগের ৬-দফা দিবস উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা

আপডেট: জুন ৮, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

অমর চাঁদ গুপ্ত, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে : ‘ঐতিহাসিক ৭ই জুন ৬-দফা দিবস’ উপলক্ষে ৭ জুন রবিবার দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল ১১ টায় শহরের বাসুনিয়াপট্টিস্থ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই জুন ৬-দফা দিবসের দোয়া মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও অনুষ্ঠানের সভাপতি আলতাফুজ্জামান মিতা। প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ আলোচক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা ডা. মো. আব্দুল করিম, মো. আজগর আলী, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র ও শিশু সংগঠক মনিরুজ্জামান জুয়েল, সাবেক ছাত্র নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিন দিলীপ, জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন মুন্না, জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম আলাল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ইমতিয়াজ ইনান, তরুন আওয়ামীলীগ নেতা প্রভাষক মাসুদ হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্র নেতা শওকত হোসেন বুল্লা, জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক সামসুল হুদা শান্ত, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো. লিটন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ৭ই জুন এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিন বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন। শহীদের রক্তে ৬-দফা আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র; রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬-দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ এই ৬-দফা সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করে এবং ৬-দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ৬-দফা বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৬-দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network