আপডেট: মে ১৫, ২০২০
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক,গাজীপুর : একজন সাহসী ও চৌকস পুলিশ অফিসার। দায়িত্বের প্রতি দায়বদ্ধ তিনি। কাজের মাধ্যমেই ব্যতিক্রমতার গল্পগুলো তৈরি করেন তিনি। প্রশংসার ফুলঝুরিও তিনিই নেন। দিন গেলে তার ভালো কাজের পাল্লা ভারী হয়। ডিপার্টমেন্টসহ প্রতিদিন মানুষের কাছে হয়ে উঠছেন প্রিয় ব্যক্তিত্ব আর পেয়েই চলছেন জনতার হৃদয়ের আসন। নারী হয়েও চ্যালেঞ্জিং পেশায় থেকে প্রতিটি পদক্ষেপে অকুতোভয় ভূমিকা রেখে দেশজুড়ে ব্যাপক ভাবে আলোচিত গাজীপুর জেলা পুলিশ সুুুপার (এসপি) শামছুন্নাহার (পিপিএম)।
সাধারণ মানুষকে নিয়ে তিনি কাজ করছেন যে ভাবে ঠিক তেমনই নিজের ডিপার্টমেন্টের প্রতিটি পুলিশের দিকে নজর রাখছেন সচেতন আর মমতাময়ী দৃষ্টিভঙ্গি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জননিরাপত্তা দিতে গিয়ে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানায় কর্মরত ১৫ পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তাদের মধ্যে উপ-পরিদর্শক (০৮ জন) চারজন করে সহকারী উপ-পরিদর্শক ও কনস্টেবল। চিকিৎসকের সার্বিক পরামর্শ নিয়ম মেনে ২১ দিন চিকিৎসা শেষে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফের নিজ কর্মস্থলে ফিরেন তারা, আর এতেই আনন্দের জোয়ারে ভাসেন তাদের মমতাময়ী ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা (এসপি) শামসুন্নাহার,এখানেও তিনি করোনা মুক্ত হওয়া পুলিশদের প্রতি মমত্ববোধ দেখিয়ে নিজের মনের বিশালতার স্বাক্ষর করেছেন। নানা আয়োজনে বরাবর অপেক্ষার পর ঊর্ধ্বতনদের বরণ করার দৃশ্য দেখা গেলেও এবার তিনি ঘটিয়েছেন ঠিক তার উল্টো,
এসপি শামসুন্নাহার রোববার (১০ মে) তার অধীনস্থদের বরণের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন, ফুলের তোড়া আর ঈদ উপহার নিয়ে। রোদ উপেক্ষা করেও অন্যান্য পুলিশদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি,পরে সুস্থরা কর্মস্থানে আসলে প্রত্যেক কে মুহুর্মুহু করতালি আর ফুল দিয়ে বরণ করেন,এবং প্রত্যেকের হাতে তোলে দেয়া ফুলের তোড়া আর ঈদের উপহার। যে কাজটি প্রত্যেক পুলিশকে অনুপ্রাণিত করে ।
পুলিশের একাধিক সদস্য সত্য প্রকাশ কে জানান,তারা এসপি শামসুন্নাহার’র মতো ঊর্ধ্বতন কমকতা পেয়ে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছেন। কাজ করতে সাহস আর উৎসাহ পান সব সময়। করোনা আক্রান্ত থেকে মুক্ত হওয়ার পর ও যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন প্রিয় পুলিশ সুপার সেজন্য অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন,এদিনটি জেলার প্রত্যেক পুলিশের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর বাড়বে কাজের গতি।
এদিকে গাজীপুর জেলার বহুল আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার (পিপিএম) জানিয়েছেন পুলিশ মাঠে কাজ করছে আর করবে ও,আর মাঠে সারাক্ষণ যারা কাজ করছে তাদের মনোবল যেন ভেঙে না পড়ে সুস্থ থাকে সেদিকে সর্বদা নজর দারি করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় যত রকমের সাপোর্ট তাদের দরকার সবটুকু দেয়া হবে বলে জানান ।