২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

 

করোনাঝুঁকির দ্বিতীয় দফায় সতর্কবার্তা দিল আইএলও

আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ ডেস্ক: শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর বিষয়ে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। মঙ্গলবার সংস্থাটির জেনেভা অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা না দিলে ভাইরাসের দ্বিতীয় দফা ঝুকিঁ রয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে দেশে লকডাউনে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল- তা এখন শিথিল করার চাপ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশগুলোর সরকারের প্রতি কর্মক্ষেত্রে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইএলও।

এজন্য মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে ও সংলাপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও।

বিবৃতিতে আইএলও বলছে, সব মালিকপক্ষকে তাদের কর্মীদের ঝুঁকির বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য কর্মস্থলগুলোতে শ্রমিকদের ফিরে আসার আগেই তাদের সুরক্ষার কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া দেশগুলো ভাইরাসের দ্বিতীয় দফা ঢেউয়ের ঝুঁকিতে পড়বে। আর যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে কর্মক্ষেত্রে সংক্রমণের দ্বিতীয় দফার ঝুঁকি কমে যাবে।

সর্বাধিক দুর্বল শ্রমিক ও ব্যবসায়ী, বিশেষত অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির অংশ যারা, সেই অভিবাসী ও গৃহকর্মীদের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরে বিবৃতিতে আইএলও বলেছে- অন্যদের মতো এই শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। সেগুলো হল- নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের অনুশীলন সম্পর্কে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনমতো বিনামূল্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের (পিপিই) ব্যবস্থা, জনস্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে প্রবেশাধিকার এবং জীবিকার বিকল্প ব্যবস্থা থাকা।

শ্রমিকদের নিরাপদে কাজে ফেরা নিশ্চিত করতে ও কর্মক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ৬টি পরামর্শ দিয়েছে আইএলও। সেগুলো হল-

১. সব কাজের ক্ষেত্রে বিপদ নির্ধারণ করা। সংক্রমণের ঝুঁকিগুলো নির্ধারণ করা এবং কাজে ফিরে আসার পরও সেগুলো নির্ধারণ অব্যাহত রাখা।

২. প্রতিটি খাত ও প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোজিত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেয়া। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে- শ্রমিক, ঠিকাদার ও গ্রাহকের মধ্যে কাজের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, কর্মক্ষেত্রে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিয়মিত মেঝে পরিষ্কার করা, পুরো কর্মস্থল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা, হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজেশনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সরবরাহ করা।

৩. প্রয়োজন অনুযায়ী বিনামূল্যে কর্মীদের মাঝে পিপিই সরবরাহ করা।

৪. কারও মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে তাকে পৃথক করা এবং কার কার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে- তা খতিয়ে দেখা।

৫. কর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান।

৬. সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুশীলন এবং কর্মক্ষেত্রে পিপিইর ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও তথ্য উপাদান সরবরাহ করতে হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network