১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

 

করোনা সংক্রমনের উপসর্গ নিয়ে সারাদেশে আরও আট জনের মৃত্যুর খবর

আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার  উপসর্গ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মরদেহগুলো এবং সেগুলোর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার স্থানীয় প্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ নিয়ে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন জানান, ওই তরুণ ঢাকায় একটি বেসরকারি কম্পানিতে চাকরি করতেন। ১০ দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। তিন দিন ধরে তিনি জ্বর, গলা ব্যথা ও কাশিতে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। একপর্যায়ে বমির সঙ্গে রক্ত বের হয়।

গোপালগঞ্জে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে গতকাল শিখা রানী ঠাকুর (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের টিকারডাঙ্গা গ্রামের গোপাল ঠাকুরের স্ত্রী।

করোনার উপসর্গ নিয়ে শরীয়তপুরে গত মঙ্গলবার রাতে এক নৈশপ্রহরীর মৃত্যু হয়েছে। নড়িয়া উপজেলার ভোজেস্বর ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে গত মঙ্গলবার এক নারী (৪৫) মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা নজরুল ইসলাম জানান, ওই নারী দীর্ঘদিন ধরেই টিবি রোগে ভুগছিলেন। এর ওপর গত কয়েক দিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। গত মঙ্গলবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। করোনা আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ থাকায় নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

দিনাজপুরের বিরামপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নিয়ে আজিজার রহমান (৩৫) নামের এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার মারা গেছেন। সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, ওই ব্যক্তি এর আগে সোমবার দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। মৃত্যুর সময় তাঁর শরীরে করোনার লক্ষণ ছিল। ওই ব্যক্তির মরদেহ ও পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বান্দরবানের লামায় গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে। এর মাঝেই গত মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে লামা পৌরসভার পূর্ব নয়াপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে আমির হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এক সপ্তাহ ধরে তিনি জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। মারা যাওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের দুটি পরিবার ও ওষুধের দোকান লকডাউন করা হয়েছে।

জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শেরপুরে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শহরের চাপাতলি এলাকার গেন্দু মিয়ার ছেলে লাড্ডু মিয়াকে (৩২) গতকাল ভোরে জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি ফেরি করে চানাচুর-মুড়ি বিক্রি করতেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পী খাতুন (২৮) নামের ওই রোগী মারা যান।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network