১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

 

তিন দফা অপারেশন শেষে প্রসূতীর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাংচুর

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সট নিউজ প্রতিবেদকঃ সোনারগাঁ উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় অমান্তিকা নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনারা উত্তেজিত হয়ে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতাল ভাংচুর করেছে।

এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিকের ভাই সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিহত আমন্তিকা (২০) সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় সাদিপুর গ্রামের পিন্টু মিয়ার স্ত্রী।

সোনারগাঁ থানা পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকালে অমান্তিকা নামে ওই রোগীর প্রসব ব্যাথা উঠলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার সোনারগাঁ শপিং কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত গাইনি ডাক্তার নুরজাহান তাকে সিজার করতে হবে জানান। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১৩ হাজার টাকায় অমান্তিকাকে সিজার করার চুক্তি করেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে রোগীর সিজার করেন এবং একটি কন্যা সন্তানের জম্ম দেন। এরপর ডাক্তার নুরজাহান তাড়াহুড়ো করে আরেকটি অপারেশন আছে বলে সাথে থাকা নার্সকে সেলাই করার জন্য নির্দেশ দিয়ে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।এদিকে, সেলাইয়ের পর রাত যত বাড়তে থাকে অমান্তিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি পেট ব্যাথাসহ কয়েকবার বমি করেন। পরে হাসপাতালের নার্সরা রোগীকে শারীরিক অবস্থার কথা ডাঃ নুরজাহানকে জানালে তিনি গত শনিবার সকালে অমান্তিকাকে নারায়ণগঞ্জ কেয়ার হাসপাতালে নিতে বলেন। সেখানে নিয়ে গেলে অমান্তিকাকে ২ দফা অপারেশন করেন নুরজাহান।
অপারেশন শেষে অমান্তিকার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে রোগীর স্বজদের জানানো হয় রোগীর কিডনিতে সমস্যা আছে তাকে দ্রুত ঢাকা আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। শনিবার রাতেই স্বজনরা রোগীকে আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেইন গেইটে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। সোমবার সকালে রোগীর স্বজনরা সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালের সামনে এম্বুলেন্স রেখে তার মৃত্যুর বিচার চেয়ে হাসপাতালে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ ঘটনায় সোমবার সকালে ভাংচুরের সময়ই সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালের মালিক মানসুরা আমেরিকা থাকায় ভাই সৈয়দ শরিফউদ্দিন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের মালিক মানসুরা বেগমের ভাই সৈয়দ শরিফউদ্দিন কাদেরী জানান, আমার বোন বর্তমানে আমেরিকা রয়েছেন। হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় আমরা জড়িত নই। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ দায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের। মালিকপক্ষ হিসেবে এ ব্যাপারে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। রোগীর আত্মীয়-স্বজন আমাদের হাসপাতালে ভাংচুর করায় থানায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

ডেইলি নেক্সট নিউজ/ফয়সাল

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network