বরগুনায় রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী, একইসঙ্গে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে বরগুনা যাচ্ছেন ৪০জন আইনজীবী। এছাড়া মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং সাস্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের ১৫০জন আইনজীবী।
আজ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না। এদিকে, বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারীকে মিন্নির আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তার বাবা। রবিবার মিন্নির জামিনের জন্য আদালতে দাঁড়াবেন এই আইনজীবী।
এদিকে, রিফাত হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। ১৯জুলাই সন্ধ্যায় আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। তবে এই জবানবন্দি জোর করে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। শুক্রবার রাতে ডিবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাতকারে একথা জানান তিনি।
গত ১৬ই জুলাই সকাল সোয়া ১০টার দিকে মিন্নিকে বরগুনা পৌরসভার মাইঠা এলাকার নিজ বাসা থেকে জেলা পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। সেদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে মিন্নির সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
১৩ই জুলাই রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবে রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন রিফাত হত্যাকাণ্ডের সাথে তার পূত্রবধূ মিন্নি জড়িত। সিসিটিভি ফুটেজে পুত্রবধু মিন্নির গতিবিধি সন্দেহজনক বলে দাবি করে তিনি বলেন, রিফাতকে সন্ত্রাসীরা আক্রমনের প্রথম দিকে মিন্নির তৎপরতা ছিল স্বাভাবিক। পরবর্তিতে, সে নিবৃত্ত করতে চাইলেও বিষয়টি ছিল পরিকল্পিত। তিনি মিন্নিকে এ ঘটনার পরিকল্পনায় যুক্ত দাবি করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য মিন্নি রিফাত হত্যা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী। রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ হচ্ছেন এ মামলার বাদি।
আরও পড়ুন:
রিফাত হত্যা: স্ত্রী মিন্নি গ্রেপ্তার
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন মিন্নি