১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

 

মেধার ভিত্তিতে পুলিশে চাকরি পেলেন তারা

আপডেট: জুন ৩০, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
নেক্সট নিউজ প্রতিবেদকঃ

এতিম দুই মেয়ের পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয়েছে। এতে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে মেহেরপুরের মুজিবনগর সরকারি শিশু পরিবারে। আর এই চাক্রি পেতে লাগেনি কোনো রকম ‘ঘুষ’। মেধার ভিত্তিতে তাদের পুলিশে চাকরি মধ্য দিয়ে তারা একটি নিশ্চিত উজ্জল ভবিষ্যত পেলেন।

জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির আবেদন করতে ১০৩ টাকা ফি জমা দিতে হয়। কোনো প্রকার ঘুষ বাণিজ্য ছাড়াই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশ কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিলেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। এতে উদ্বুদ্ধ হয়েই এই দুই এতিম মেয়ে গত ২৪ জুন মেহেরপুর পুলিশ লাইনে বাছাই পরীক্ষায় অংশ নেন। গত কয়েক দিন বিভিন্ন পরীক্ষা সম্পন্ন করে জেলার দুই এতিমসহ ১৮ জন নারী ও পুরুষ পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন।

মুজিবনগর সরকারী শিশু পরিবারে বাবার স্নেহে এতিম মেয়েদের মানুষ করছেন প্রধান শিক্ষক তন্ময় কুমার সাহা। শুক্রবার পুলিশ লাইনে চাকরিপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সেখানে দুই মেয়ে লতা ও প্রিয়াকে নিয়ে এসেছিলেন তন্ময় কুমার সাহা। তিনি বলেন, ‘আমার এখানে ৯০ জন এতিম কন্যা শিশু রয়েছে। এ বছর লতা ও প্রিয়া এসএসসি পাস করেছে। সরকারি নিয়মানুযায়ী এসএসসির পরে তাদের বিদায় দিতে হবে। তাই এই চাকরির মধ্য দিয়ে আমার মেয়ে দুটির ভবিষ্যত নিশ্চিত হয়েছে।’

চাকরিপ্রাপ্ত প্রিয়া খাতুনের বাড়ি মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে। ছোটবেলায় তার বাবা-মা মারা যায়। প্রিয়া বলেন, ‘আমি অনেক অনেক গর্বিত। কেননা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে। মেধার ভিত্তিতে আমি চাকরি পেয়েছি।’ চাকরি পেয়ে খুশি লতা খাতুনও বলেন একই কথা।

এ বিষয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় কি-না তা আমারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যা চাওয়া আমরা চাই বাস্তবায়ন করেছি।’

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network