আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক , ঢাকা : ড. শেফালী রাণী মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা গত ৬ আগস্ট খ্রিঃ তারিখ হতে কর্মস্থল থেকে পলাতক এবং তাঁর দীর্ঘ কর্মস্থলে অনুপস্থিতে সংস্থাটির কর্মকান্ডে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
পতিত সরকারের চুক্তিভিত্তিক প্রাক্তন সচিব ওয়াহিদা আক্তার কৃষি মন্ত্রণালয় এর ঘনিষ্ঠ আজ্ঞাবাহক (বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্লাসমেইট ও বান্ধবী) ড. শেফালী রাণী মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তিনি এবং ড. মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিব, নির্বাহী পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা মিলে সিডিবি এর সকল নিয়োগ বানিজ্য, অবৈধ পোস্টিং এবং অন্যান্য দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকা সচিবসহ নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক এর মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করতেন। শেফালী রাণী মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা গত ৬ আগস্ট তারিখ হতে নিজ কর্মস্থল থেকে পলাতক রয়েছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বৈষম্যের শিকার কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন তুলা উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে মিছিল এবং অপসারন দাবী করেছেন।
গত ৬ আগস্ট তারিখের পর থেকে শেফালী রাণী মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা কর্মস্থল হতে পলায়ন অবস্থায় রয়েছেন। এটি সকলেই অবগত থাকলেও পতিত ক্ষমতাসীনদের দোসর মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিব, নির্বাহী পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা শেফালী রাণীর বিরুদ্ধে কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহন থেকে বিরত রয়েছেন। এমনকি শেফালী রাণী মজুমদার এর অনুপস্থিতি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ/মন্ত্রণালয়কে জানানো থেকেও বিরত আছেন। এদিকে শেফালী রাণী মজুমদার এর অনুপস্থিতিতে সিডিবি এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সিদ্ধান্তের অভাবে আটকে রয়েছে বা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে এমনকি তুলা বপন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। মাঠে তুলা উৎপাদনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে।
এখানে উল্লেখ্য যে ,শেফালী রাণী মজুমদার ৬ষ্ঠ গ্রেডের কর্মকর্তা (প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা) হতে ৩য় গ্রেডের কর্মকর্তার (অতিরিক্ত পরিচালক) চলতি দায়িত্বে অবৈধভাবে বহাল আছেন। সে সাবেক সচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিব, নির্বাহী পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা এর সহযোগিতায় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সর্বেসর্বা হিসাবে কাজ করতেন। পতিত সরকারের আজ্ঞাবহ সচিব ওয়াহিদা আক্তারকে অপসারন করা হলেও তাঁর অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত শেফালী রাণী মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা এবং মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিব, নির্বাহী পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকাকে এখনও অপসারন করা হয়নি। এদুইজন কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব থেকে অপসারন করা না হলে তুলা উৎপাদন এবং সংস্থাটির অস্তিত্ব বিলীন হতে থাকবে বলে বৈষম্যের শিকার কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন তুলা উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ মনে করেন।
অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ড.শেফালী রানী মজুমদারকে চাকরিচ্যুত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।