৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

 

‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪’ পেয়েছেন ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি

আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪’ তুলে দিলেন। গতকাল সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করেন তিনি। এবার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে তিনজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া সংস্কৃতিতে একজন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে একজন এবং সমাজসেবায় তিনজন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এ পদক পেয়েছেন।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে পুরস্কার পেয়েছেন কাজী আবদুস সাত্তার বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসা বিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ। সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিক উজ্জামান এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে ফিরোজা খাতুন এ পুরস্কার পেয়েছেন। সমাজসেবা/জনসেবা ক্ষেত্রে পুরস্কার পেয়েছেন অরণ্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এস এম আব্রাহাম লিংকন। পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, সম্মানির অর্থের চেক ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন পুরস্কার বিতরণী পর্বটি সঞ্চালনা করেন এবং পুরস্কার বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেন। স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪ বিজয়ীদের পক্ষে মোহাম্মদ রফিক উজ্জামান অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিক লেখকসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীরবে-নিভৃতে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পুরস্কারে সম্মানিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তাদের জন্য নয়, বরং জনগণের কল্যাণের জন্য এটা করতে হবে। কারণ, তারা কখনোই সামনে আসেন না বা আসতে চান না। নিজস্ব উদ্যোগে বা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যারা মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অবদান রেখে যাচ্ছেন তাদের পুরস্কৃত করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় কথা। শেখ হাসিনা বলেন, এ পুরস্কারপ্রাপ্তির ফলে মানুষের জন্য ও দেশের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে আরও অনেকে অনুপ্রাণিত হবেন এবং দেশের কল্যাণে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি। সরকার প্রধান তার ভাষণে বিগত ১৫ বছর দেশ শাসনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি বাংলাদেশের সেই হারানো গৌরব আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর যে মর্যাদা বাংলাদেশ অর্জন করেছিল এবং ’৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যা হারিয়ে যায়। তিনি বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় রেখে যান। সেখান থেকে আমরা আরও এক ধাপ উত্তরণ ঘটিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিতে পেরেছি-২০২৬ সাল থেকে যা কার্যকর হবে। আজ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। ‘জয় বাংলা’ আবার ফিরে এসে এখন আমাদের জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস বিকৃতির যত চক্রান্তই হোক না কেন আজকের নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চায়, বুঝতে চায়। সেই প্রেরণা নিয়েই সামনের দিকে চলতে চায় এবং জীবনকে গড়ে তুলতে চায়। আর এটাই আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় আশার বাণী। 

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে যে মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় এসেছিল, তারাও এ দেশে একাত্তরের মতোই গণহত্যা চালিয়েছিল। আমাদের সেনা অফিসারদের একের পর এক হত্যা করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং এরপর নির্বাচনি প্রহসন, দল গঠন, দল ভাঙন। নানা ধরনের খেলা ২১টি বছর আমাদের ওপর চলেছে।

বর্তমান সরকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না। প্রতি ঘরে ঘরে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। শিক্ষার হার বৃদ্ধি করেছি, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি, উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

 

 

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network