আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২২
মনিরুজ্জামান মতিন,কালিহাতী(টাঙ্গাইল) :টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষিতা হয়েছে। ধর্ষকের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির
দাবীতে গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছেন। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা শান্তনা আক্তার বাদী হয়ে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় আলুপাকুটিয়া গ্রামে এলাকা বাসী একই গ্রামের ধর্ষক রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবীতে মানববন্ধন করেছে।
মামলা ও মানববন্ধনে গিয়ে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৩১ মার্চ স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অতি গোপনে সিএনজি যোগে সখিপুরের কাকড়াজান ইউনিয়নে ইন্দ্রাজানী বাজারের পাশে নাথুর চালা নামক জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় । তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে রাসেল পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিধি বাম অবশেষে জনতার হাতে ধরা পড়ে রাসেল।
স্থানীয় জনতা কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দীন মেজবাহ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল মান্নান দুইজন কে আলাদা রুমে আটকিয়ে রাখে এবং দুইজনের অভিভাবককে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে ছেলের বাবা লাল মিয়া উপস্থিত হয়ে ২০ লাখ টাকার কাবিন দিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছেলেকে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বিয়ে না করে প্রভাবশালী ছেলে পক্ষ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতা শান্তনা আক্তার বাদী হয়ে টাঙ্গাইল কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
আলুপাকুটিয়া গ্রামের আ: লতিফের ছেলে মো: নাজমুল হোসেন বলেন, ঘটনা শতভাগ সত্য, ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করি।
দিগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ফনি জানান, ধর্ষণের বিষয়টি জানা নাই এবং মানববন্ধন করেছেন কিনা তা জানি না।
মেয়ের মা মর্জিনা বেগম জানান, রাসেলের ভয়ে আমার মেয়ে স্কুলে যাইতে পারে না। অবশেষে আমার মেয়ের ক্ষতি করলো। ওরা ধনি মানুষ তাই তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।