আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২২
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক,টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল শহরের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হযরত আয়শা সিদ্দিকা (রা:)মহিলা মাদ্রাসা। জেলা শহরের প্রানকেন্দ্র এলজিইডি মোড়ের নিকট দেওলাতে এই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত উক্ত মাদ্রাসাটিতে নূরানী শাখা প্রথম শ্রেনী থেকে তৃতীয় শ্রেনী পর্যন্ত। কিতাব শাখায় পহেলী (চতুর্থ শ্রেনী) থেকে মেশকাত ও দাওরাহ পর্যন্ত দ্বীনি শিক্ষা প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ছাত্রী সংখ্যা ৫১৪ জন। তার মধ্যে আবাসিক ৪৬৪ জন, অনাবাসিক ৫০ জন। এর মধ্যে ৩০ জন ফুল ফ্রি ও ৫০ জন ছাত্রী অর্ধেক খরচে পড়াশোনা করছেন। এখানে পুরষ শিক্ষক ১৭ জন, মহিলা শিক্ষিকা ১৫ জন। ১ জন বাবুর্চি ও ২ জন খাদেম কর্মরত রয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাওরাহ ডিগ্রি নিয়ে ১১ টি ব্যাচ বের হয়ে কর্মক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে।
ঘরে ঘরে দ্বীনদার নারী বানানোর স্বপ্ন নিয়ে ২০০৩ সালে আলহাজ্ব হাফেজ মো. আলমগীর হোসেন খান, আলহাজ্ব হাফেজ মো. শফিকুল ইসলাম আকন্দ,আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা খুররম সরকার, আলহাজ্ব মো. আলমগীর তালুকদার,আলহাজ্ব হাফেজা মোছা. তাসলিমা জাহান খানম হযরত আয়শা সিদ্দিকা রা: মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন আলহাজ্ব হাফেজ মো. সোলায়মান,আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা শামসুল ইসলাম, হাফেজ তরিকুল ইসলাম। মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে দ্বীনি এলেম শিক্ষার জন্য উল্লেখিত নয়জন তারকা ব্যক্তিরা এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন।
এই প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের থাকা-খাওয়া বে তনাদীবাবদ মোট ফি নেওয়া হয় ২০০০/ (দুই হাজার) টাকা। প্রতিষ্ঠানের ভাড়া দেওয়া হয় মাসিক ৩২,০০০/ (বত্রিশ হাজার) টাকা। মোট ৩৫ জন স্টাফের বেতন, ভাড়া, ছাত্রীদের তিন বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হিমসিম খেতে প্রতিষ্ঠানকে। প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায় ৪৬৪ ছাত্রীর জন্য আবাসিকে পর্যাপ্ত টয়লেট,ল্যাট্রিন ও গোসল খানার ব্যবস্থা নেই। একাডেমিক ক্লাসরুম ও বেঞ্চের সংকট রয়েছে। জানা গেলো প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের দায়িত্বে থাকা মোহতামিমের মাসিক বেতন ৮৫০০/(আট হাজার পাঁচশত) টাকা। অন্যান্য শিক্ষক ও স্টাফদের বেতন আরো কম। শিক্ষকরা জানান, শুধুমাত্র দ্বীনি চেতনা থেকে মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তাঁরা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির মোহতামিম হাফেজ মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামে পৌর শহরের দেলদুয়ার রোডে গাড়াইলে ৪০ শতাংশ জমি রয়েছে। উক্ত ভুমিতে ভবন ও দেয়ালের কাজ সম্পন্ন করতে পারলে আমাদের আর ভাড়া বাড়িতে ক্লাস কার্যক্রম করতে হবেনা। প্রতিষ্ঠানে কোনো কম্পিউটার না থাকায় সমস্যা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি সামর্থবানদের কাছে ভবন নির্মান কাজে এগিয়ে আসার জন্য আশা প্রকাশ করেন। তিনি একটি কম্পিউটার দান করার জন্য বিত্তশালীদের নিকট দাবী জানান।