৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

 

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাউন্ডারী দেয়াল ভাংচুরের ঘটনায় চাঁদাবাজি মামলা

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

 

নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক,টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাউন্ডারি দেয়াল ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার বিলবর্ণী গ্রামের ইমান আলী ঘটক এ অভিযোগ করেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে ইমান আলী স্থানীয় ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দিনসহ ১৪ জনকে আসামী করে টাঙ্গাইল জেলার মাননীয় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালিহাতী উপজেলা আমলী আদালতে ১৭ ফেব্রুয়ারী মামলা দায়ের করেছেন। মোকদ্দমা নম্বর ১১৩/২০২২ সি, আর। ধারা দন্ডবিধি ১৪৩/৪৪৭/৪২৭/৩৭৯/৩৮৫/৫০৬(।।) ও ১০৯। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ইমান আলীর বাউন্ডারি দেয়াল ভাংচুরের ঘটনা ঘটলে তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১২০ নম্বর বাংড়া মৌজায় বিএস ২১৮ খতিয়ানের ৩০ নম্বর দাগে ১২ শতাংশ সাব কবলা মূলে ক্রয় করেন ইমান আলীর মা ছাকিরন নেছা। স্থানীয় মোফাজ্জল হোসেনের নিকট থেকে ছাকিরণ জমিটি ক্রয় করেন। সে অনুযায়ী ছাকিরণ নেছার নামেই ভূমিটির রেকর্ড সম্পন্ন হয়। বাংড়া মৌজার নকসা ঘেঁটে দেখা যায়, ইমান আলীর দখলীয় জমিটির উত্তরে ইমানের চাচা মহির উদ্দিনের ২৯ দাগের জমি, দক্ষিনে ৭০ দাগ চিহ্নিত রাস্তা, পূর্বে শোলাকুড়া-বটতলা রাস্তা, পশ্চিমে চাচা মহির উদ্দিনের ৩১ দাগীয় জমি। মামলার বিবরণে জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য এখলাস ইমান আলীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় উক্ত ইউপি সদস্য তার লোকজন নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারী ইমান আলীর বাড়ির বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। দেয়াল ভাঙ্গার পর বিরোধীয় ভূমিতে ইমান আলীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে আদালত। ২৪ ফেব্রুয়ারী ফোজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মোতাবেক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইলের আদালত ২০৩ /২০২২ পিটিশনে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। ইমান আলী জানান,” স্থানীয় ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দিনের ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সরকারী রাস্তা বাদ দিয়ে তিনি আমার জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা নেয়ার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছেন। অথচ ৭০ দাগের সরকারী রাস্তা পার্শ্ববর্তী আজিজ,আলী আকবর,হিরা ও আকলিমা ভোগ করতেছে। আমি এখলাসের অত্যাচার থেকে মুক্তি চাই।”
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাংড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসমত আলী নেতা সাংবাদিকদের জানান, ” সরকারী রাস্তা বাদ দিয়ে ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মানের চিন্তা করা ঠিক নয়। ইমান আলীর ১২ শতাংশ জমি রেকর্ডীয় সম্পত্তি। ”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন,” আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা। “

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network