আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
আপডেট:
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক,টাঙ্গাইল : কালিহাতীতে ২০২১ সাল থেকে মুজিব বর্ষকে কেন্দ্র করে গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটির আয়োজনে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্যাম্প ২০২১ এর ফেব্রুয়ারী মাসে সারা বাংলাদেশের ১৪ টি জেলায় করার ঘোষণা প্রদান করে। তারই ধারাবাহিকতায় ৯ তম জেলা হিসাবে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১৫ ও ১৬ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে এই ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পটি ১৫ই ফেব্রুয়ারি পোষণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৬ তারিখে চড়-কয়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেখানে ৫০ জন শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ, শিশুদের সাথে কথোপকথন ও তাদের মানসিক সাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে সঠিক কাউন্সেলিং করা হয়। সেই সাথে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত না না সমস্যার সাথে শিশুরা কিভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে সে ব্যপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়। এছাড়াও শিশুদের স্কুল ব্যাগ, প্যাড, কলম, টি শার্ট এবং পুষ্টি উপাদান যেমন গুড়া দুধ, সি-ভিট প্রদান করা হয়েছে। এস.ডি.জি এর ২,৩ এবং ৪ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মূলত ক্যাম্পটি করা হয়।
এ সময় সংগঠনের ডেপুটি ডিরেক্টর ও উক্ত প্রোজেক্টের কো-অর্ডিনেটর মোঃ মাহির দাইয়ান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি রাওমান স্মিতা, বিশেষ অতিথি ছিলেন উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল আলম প্রমুখ। এছাড়াও পোষণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আছাদুজ্জামান, পালিমা কালিহাতির বাণী চৌধুরী, করুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাগরিকা সরকার, ভূয়াপুরের ৪নং নারান্দিয়া ইউনিয়নের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান এডভোকেট শফি উদ্দিন, কালিহাতি উপজেলা কৃষকলীগ এর আহবায়ক ও কুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেনেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, পি.আর.ডি.পি. নারান্দিয়া জোন ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ রুবেল সরকার, নিকরাইল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও সভাপতি গভার্বনিং বোর্ড, চড়-কয়েড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোঃ মজনু মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে রাওমান স্মিতা বলেন – অভিভাবক ও শিক্ষকদের একসাথে এগিয়ে আসতে হবে শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করণের জন্য। এবং শিশুরা যাতে ঝড়ে না যায় তার জন্য আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
আহসানুল আলম বলেন – আজকের শিশু আগামী দিনের বাংলাদেশের কর্ণধার, তাদেরকে সকল প্রকারের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এবং এ ব্যপারের সকলে সম্মিলিত ভাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মাহির দাইয়ন বলেন – শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নের সাথে তারা যাতে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকে সে ব্যপারের সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে, প্রয়োজনে স্কুলে সপ্তাহে ১ ঘন্টা একটি সেশন নেওয়া যেতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য’র উপরে।
অনুষ্ঠানটির আয়োজনে সহযোগী পার্টনার হিসাবে ছিলেন ডানো আরলা, জিলাটিসিমো, একমি ও নাভানা। শিশুরা যেন মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারে তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্য জিএলটিস সর্বোপরি শিশুদের পাশে কাজ করে যাচ্ছে।