আপডেট: জুলাই ২৪, ২০২১
মনির হোসেন,টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া-ধলাপাড়া সড়কের মাঝামাঝি কাটাখালী নামক স্থানটি বর্তমানে স্থানীয়দের বিনোদন স্পট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতিদিন নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে ওই স্পটটিতে।
লোক সমাগমকে কেন্দ্র করে কাটাখালীতে ‘স্বপ্নের জল কুটির কফি অ্যান্ড রেস্টুরেণ্ট’ নামে একটি কফি হাউজ গড়ে ওঠেছে। ওই কফি হাউজে প্রবেশ ফি রাখা হয়েছে ২০ টাকা। কেউ কফি পান করুন বা না করুন ঢুকতেই ২০ টাকা দিয়ে প্রবেশের টিকিট নিতে হবেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ওই কফি হাউজ চালানো হচ্ছে। দিনের আলোয় কফি বিক্রি হলেও রাতের আধাঁরে চোলাই মদ আর নারী নিয়ে চলে আড্ডা।
ওই কফি হাউজকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে কিশোরগ্যাংয়েরও আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। কফি হাউজে ঢুকতে কেউ ২০ টাকা মূল্যের টিকিট না কাটলে ওই কিশোরগ্যাংয়ের রোষানলে পড়তে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নির্জন পাহাড়ি এলাকায় সড়কের পাশে গড়ে ওঠা কফি হাউজটি ঘাটাইল উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহ-সভাপতি জুয়েল রানা ও উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হেলাল খানের ছেলে রাজন খান, দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও কালিকাপুর গ্রামের আবু তাহেরের নেতৃত্বে চালানো হচ্ছে।
পাশের ভবনদত্ত গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল খান ওই কফি হাউজের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে থাকেন।
ঘাটাইলের থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়মিত যাতায়াতের সুযোগে রাসেল খান কফি হাউজ প্রতিষ্ঠায় ইন্দন দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাইন উদ্দিন তালুকদার তারু জানান, ‘স্বপ্নের জল কুটির কফি অ্যান্ড রেস্টুরেণ্ট’ নামে কফি হাউজ করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক হলেও তারা পরিষদ থেকে কোনো ট্রেড লাইসেন্স গ্রহন করেনি।
কফি হাউজকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া-বিবাদ হচ্ছে বলে এলাকার অনেকে ফোনের মাধ্যমে তার কাছে অভিযোগ করেন। তিনি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেছেন।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা ইয়াসমিন জানান, লকডাউনের মধ্যে লোক সমাগম হয়- এমন কাজ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
কফি হাউজে ঢুকতে টাকা লাগার কথা নয়। তিনি খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।