আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২১
মনির হোসেন, টাঙ্গাইল : কোরবানীর বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। আর এ কোরবানীকে সামনে রেখে ২০ মণ ওজনের কোরবানির ষাঁড় গরু বুদ্ধুকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের কাচিনা লখাই গ্রামের খামারী শামীম।
জানা যায়, দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে ফিরে আবুল কাশেম আজাদের ছোট ভাই শামীম তার নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন গরুর খামার। প্রায় তিন বছর পূর্বে তিনটি গাভী নিয়ে খামার ব্যবসা শুরু করেন তিনি। গত কোরবানি ঈদে একটি ষাড় গরু বিক্রি করে তিনি লাভবান হন। পর্যায়ক্রমে তার খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ১২টি গরু ছিল। এর মধ্যে বিক্রি হয় ৪টি। বর্তমানে ৮টি গরুর মধ্যে ২টি ষাঁড় গরু রয়েছে। এর মধ্যে এ বছর কোরবানির ঈদে বিক্রয়ের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন ২০ মণ ওজনের ষাঁড় গরু । যার নাম রাখা হয় বুদ্ধু। যার দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ৮ ফুট। কিন্তু করোনালগ্নে গরুটি বিক্রয় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারী শামীম।
খামারী শামীম বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে আমার খামারের একটি গাভীর পেট থেকে একটি ষাঁড় বাছুর জন্ম নেয়। জন্মটি বুধবারে হওয়ায় বাড়ীর লোকজন আদর করে নাম দেয় বুদ্ধু। গত বছর বন্যা ও করোনার কারণে ষাঁড় গরু নিয়ে লোকসান গুনেছি। এ বছরও করোনাকালে যানবাহনের সমস্যা থাকার কারণে ২০ মণ ওজনের সেই বুদ্ধু নামের ষাঁড় গরুটি হাটে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। তাই অনলাইনের মাধ্যমে গরুটি বিক্রির চেষ্টা করছি।
গরুটি কত হলে বিক্রি করবেন জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, আমার খামারে গরুগুলো শুধুমাত্র খড় ও ঘাস খাইয়ে বড় করেছি। বুদ্ধু নামের এই গরুটি ৬ লাখ হলে বিক্রয়ের আশা আছে। গরু বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্থানে ফোন নাম্বার (০১৭৮৮৯৪০৭৯৯) দেয়া আছে।এবার অনলাইনেই গরুটি বিক্রয়ের প্রত্যাশা করছি। প্রয়োজনে ক্রেতাকে গরু বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাও করা হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহীদুল্লাহ জানান, গরুটির ছবি তুলে সম্পূর্ণ বিবরণ সহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে খামারী যাতে গরুটি বিক্রি করতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।