আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২১
জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার লস্করপুর গ্রামের মুক্তার আলীর স্ত্রী নুরজাহান বিবির ভন্ডেশ্বর মৌজার ২৪ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি নওপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক ও তার দুই ছেলে মাঈন উদ্দিন এবং আয়নাল অবৈধভাবে দখল করার পায়তারা করছে।
জানা যায়, আউলিয়াবাদ গ্রামের সায়ের আলী তালুকদার ভন্ডেশ্বর মৌজার ১৪৫ খতিয়ানের ৩১৫৭ দাগের কাতে ২৪ শতাংশ ভূমি তার মেয়ে নুরজাহান বিবিকে বিগত ১৯৭৮ সালের ১৬ আগস্ট কালিহাতী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে হেবা দলিলমূলে দান করেন। এ দানের বিষয়টি অজ্ঞাত কারণে সায়ের আলী গোপন রাখেন।
সায়ের আলীর মৃত্যুর পর নুরজাহান বিবি ও তার ছেলে মো. নাসির উদ্দিন হেবা দলিলের বিষয়ে জানতে পেরে দলিলটির অনুলিপি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে তুলেন। দলিল পাওয়ার পর তারা জমির দখল নিতে গেলে নওপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক ও তার দুই ছেলে মাঈন উদ্দিন এবং আয়নাল বাধা দেয়।
পরে আব্দুল মালেক ও তার ছেলেরা নুরজাহান বিবিকে জানায়, তারা ওই সম্পত্তি নওপাড়া এলাকার সেকান্দর আলীর স্ত্রী বেগম খাতুনের কাছ থেকে সাব কবলা দলিলমূলে কিনেছেন। তারা বেগম খাতুনকে ওই দাগের ২৮ শতাংশ জমি সায়ের আলীর টিপসই দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২১ আগস্টের দানপত্র ভায়া দলিল দেখান। তাই তারাই ওই জমির মালিক বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে নুরজাহান বিবির ছেলে মো. নাসির উদ্দিন জানান, তার নানা বিগত ১৯৭৮ সালের ১৬ আগস্ট কালিহাতী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে হেবা দলিলমূলে তার মাকে ২৪ শতাংশ জমি দান করেন। আব্দুল মালেক ও তার ছেলেরা বেগম খাতুনের যে দলিলমূলে জমিটি কিনেছেন বলে দাবি করছেন তা সত্য হলেও আইনত অকার্যকর।
তবে তিনি ধারণা করেন, তার নানা সায়ের আলীর অজান্তে বেগম খাতুন টিপসই নিয়ে সেটাকেই দলিলে রূপ দিয়েছেন। আব্দুল মালেক ও তার ছেলেরা মূলত অবৈধ দলিলের মাধ্যমে তার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করার চেষ্টায় সিমেণ্টের খুঁটি দিয়ে বাউন্ডারী করে রেখেছে।
নওপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক জানান, তারা বেগম খাতুনের ভায়া দলিলমূলে ২৮ শতাংশ ভূমি কিনেছেন। পরে জমিটি তারা রেকর্ডভুক্তও করেছেন। অন্যের জমি দখল করে নেওয়ার কোন ইচ্ছা তাদের আগেও ছিল না এখনও নেই।