আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১
তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
শেষ সময়ে স্ত্রী সায়রা বানু পাশে ছিলেন তাঁর।
বুধবার এনডিটিভিসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে কিংবদন্তির মৃত্যুতে ভারতের চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এর আগে রোববার (৩ জুলাই) তার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করে দিলীপ কুমারের অসুস্থতার কথা জানানো হয়।
টুইটে স্ত্রী সায়রা বানু, কিংবদন্তি অভিনেতার জন্য প্রার্থনা করার আবেদন করেছিলেন।
চিকিৎসক ডা. নিতীন গোখলের তত্ত্বাবধানে চলতে থাকে তাঁর চিকিৎসা। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার ফুসফুসে পানি জমেছে। করা হয় একাধিক পরীক্ষা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণ তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয় আইসিইউতে। এ দিন সকালে চিকিৎসকরা জানান, অভিনেতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বয়সের কারণে বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে দিলীপ কুমারের। মে মাসের শুরুতে তাকে দীর্ঘসময় হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
দিলীপ কুমারের জন্ম ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর। তার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ ইউসুফ খান। রূপালি পর্দায় ক্যারিয়ার শুরুর সময় নাম পাল্টান তিনি। ছয় দশকের অভিনয় জীবনে ‘মধুমতি’, ‘দেবদাস’, ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘রাম অউর শ্যাম’, ‘কর্ম’র মতো অসংখ্য ধ্রুপদী সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
দিলীপ কুমারকে বলা হয় বড় পর্দার ‘ট্র্যাজেডি কিং’। তাকে এই তকমা এনে দিয়েছে ‘আন্দাজ’, ‘বাবুল’, ‘মেলা’, ‘দিদার’, ‘যোগান’সহ বেশকিছু সিনেমা। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ‘কিলা’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
ভারত সরকারের কাছ থেকে ‘পদ্মবিভূষণ’ খেতাব পেয়েছেন দিলীপ কুমার। ১৯৯১ সালে তাকে দেওয়া হয় ‘পদ্মভূষণ’। এর তিন বছর পর তিনি পান দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডও।