আপডেট: জুন ২৮, ২০২১
তিনি বলেছেন, সরকারি দপ্তরে ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হয় না। ভূমি, পুলিশ, বন থেকে শুরু হবে প্রতিটি দপ্তরে কাজ করতে গেলে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া থানায় মামলাও করা যায় না।
জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সোমবার একথা বলেন ফরাজী।ঘুষ ছাড়া যিনি কাজ করতে পারেন, তাকে ভাগ্যবান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বাস্থ্যখাতের কোনাকাটার প্রসঙ্গ টেনে ডা. ফরাজী বলেন, “সার্জিক্যাল মাস্কের দাম কোনটি চার টাকা, কোনোটির দাম একটু বেশি। কিন্তু মন্ত্রণালয় এগুলো কিনেছে সাড়ে তিনশ থেকে সাড়ে চারশ টাকা করে। প্রতিটি মাস্ক থেকে সত্তর থেকে আশি গুণ টাকা লুটপাট হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এমন কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা ক্ষেত্র নেই, যেখানে ঘুষ ছাড়া কেউ কোনো কাজ করাতে পারেন। আর কেউ পারলে তিনি ভাগ্যবান।
“ভূমি অফিসে গেলে এসি ল্যান্ডকে ঘুষ দেওয়া লাগবে। আরেক জায়গায় গেলে তহশিলদারকে ঘুষ দেওয়া লাগবে। একটু বড় কাজ হলে ইউএনওকে (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) টাকা দেওয়া লাগবে। আরও বড় হলে ডিসি সাহেবের টাকা ছাড়া হবে না। থানায় তো দারোগা বাবুরা। আপনে মার খাবেন, আপনার লোক আহত হবে, নিহত হবে, তারপরেও এফআইআর করতে গেলে আগে টাকা তারপর কথা।”
“ব্রিটিশ আমলেও সবাই ঘুষ খেত না। পাকিস্তান আমলেও সবাই খেত না। এখন একেবারে প্রত্যেকেই,” বলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফরাজী মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেন, “আজকে যারা মন্ত্রী আছেন, তাদের দায়বদ্ধতা কী? সবাই গিয়ে হাত তোলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রী কি মাস্ক কিনবেন? তিনি কি ভূমি অফিসের তহশিলদারের ঘুষ ঠেকাবেন? তিনি কি ওসি/এসপির ঘুষ ফেরাবেন? হোয়ার আর দ্য মিনিস্টারস?”
আমলাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমলারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এখনে বেগম পাড়া নিয়ে বক্তৃতা হয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রে আছে। কানাডায় বেশি।
“কারা করেছেন? তারা কি সব এমপি? নো। ম্যাক্সিমাম সরকারি কর্মকর্তা। কিছু ব্যবসায়ী। আর কিছু আমাদের নষ্ট রাজনীতিবিদ। রাজনীতিবিদ নয়, সবচেয়ে বেশি হচ্ছেন আমলারা- সরকারি কর্মচারীরা। তারা দুর্নীতি করে আগে স্ত্রীর নামে বাড়ি কেনে। ছেলেকে পাঠায়। পরবর্তীতে নিজে যায়