আপডেট: এপ্রিল ১২, ২০২১
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক :
জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার তাড়িয়াপাড়া গ্রামের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী সুমন ও কামরাবাদ ইউনিয়নের স্বাধীনাবাড়ী গ্রামের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি। সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের হাতে মেডিকেলে ভর্তির আর্থিক অনুদান তুলে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান, নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মানিক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ মনির, ছাত্রলীগ নেতা শরিফ আহমেদ নিরবসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, সুমনের বাবা মিন্টু ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বাবা সুলতান দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। সুমন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়ে তাদের মেডিকেলে পড়া হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এমপি তার পক্ষ থেকে কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে দুই শিক্ষার্থীর বাড়ীতে পাঠায়। খোজখবর নিয়ে তাদের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নেন ও লেখাপড়া করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
শিক্ষার্থী সুমন ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমরা দরিদ্র পরিবারের সন্তান। আমাদের পরিবার থেকে মেডিকেলে ভর্তির জন্য ও লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব না। তাই আমাদের মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুঃচিন্তায় ছিলাম। আমাদের এমপি মুরাদ স্যার আমাদের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন ও আমাদের পড়াশোনায় আর্থিক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ডা. মুরাদ হাসান এমপি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় দুই দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী সুমন ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তি হতে বা পড়তে পারবে নাÑ এটা কখনো হতে পারে না। আমি তাদের বাড়িতে খোজ নিয়ে দুইজনের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছি। তাদের পরিবারের হাতে আপাতত ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। এরপরও তাদের পড়ালেখা সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য যে যে সহযোগীতা করার প্রয়োজন আমি ব্যাক্তিগতভাবে তা করবো।