আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০
মোঃ নাঈম শাহ্, নীলফামারী থেকে :
বৃদ্ধ বয়সে প্রতিটি বাবা-মা চায় তার নাতি-নাতনিদের নিয়ে একসাথে হাসিখুশি থাকবে। কিন্তু যে পিতা-মাতা বৃদ্ধবয়সে ছেলের বাড়ীতে যায়গা পায় না তাদের শেষ যায়গা বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধাশ্রমে হয়তো আনন্দ পাওয়া যায়, গল্প করার জন্য সঙ্গী সাথী পাওয়া যায়, বিনোদন পাওয়া যায় কিন্তু শেষ জীবনের মানসিক তৃপ্তি টুকু পাওয়া যায় না। সন্তানদের মানসিকতার যাতে অবক্ষয় না হয় , পাশপাশি অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বৃদ্ধশ্রমে ভিন্নভাবে ছোট ছেলে ইরাসাম এর তৃতীয় তম জন্মদিন পালন করলেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গড়ে ওঠা ‘নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের অবস্থান করা সদস্যদের সাথে জেলা প্রশাসক ও তার স্ত্রী ও তাদের ছেলেদের জন্মদিন পালন করেন। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা সুলতান (৮৫), আঃ কাফি(৮০), সাবেত আলী(৬৫), কহিনুর বেগম(৫৫), মমিন উদ্দিন(৭৮),একরামুল(৭০) খুটু মামুদ(৭০) সহ অন্যান্যরা জেলা প্রশাসক ও তাদের পরিবারের এই আয়োজন দেখে আবেগে পুলকিত হয়ে মন্তব্য করেন, আমাদের নিজের সন্তানরা আমাদের খোজ খবর নেয় না। কিন্তু ডিসি স্যারের সহধর্মিনী তার নিজের হাতে হাতে রান্না করা খাবার আমাদের জন্য নিয়ে এসেছেন ও আমাদের জন্য বস্ত্র দেন। আমাদের নিজের ছেলে মেয়েরা আমাদের খবর নেয় না বেচে আছি কি না মরে গেছি,কিন্তু অন্যের ছেলে মেয়েরা এসে আমাদের ভাল খাবার কাপড় জামা দিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী ফাতেহা শিরিন বৃদ্ধাশ্রমের অসহায়দের মাঝে নিজ হাতে রান্না করা খাবার ও তাদের হাতে বস্ত্র সামগ্রী তুলে দেন। তাদের বড় ছেলে ইসমাম ও ছোট ছেলে ইরাসাম বৃদ্ধাশ্রমে অবস্থিত সদস্যদের সাথে জন্মদিনের কেক কাটে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান, কিশোরগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ, কিশোরগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ, নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সাজেদুর রহমান সাজু সহ আরো অনেকে।