আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২০
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক, নাগরপুর (টাঙ্গাইল): দীর্ঘস্থায়ী ও আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গেছে কৃষকের জমির ফসল। পরিপক্বতার পূর্বেই বন্যার পানি চলে আসায় নষ্ট হয়েছে লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সোনালী আঁশ পাট, ধানের বীজ তলা, তিল, লেবু ও পেঁপে বাগান সহ কৃষি অনেক জাতের ফসল।
বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বন্যাকালীন ক্ষয়ক্ষতি ও আগামী দিনগুলোতে ক্ষতি কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তিনি উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বলেন, বাংলাদেশ কৃষি নির্ভরশীল দেশ। প্রাকৃতিক বিভিন্ন দূর্যোগ মোকাবিলা করেই আমাদের কৃষক ভাইয়েরা ফসল ফলিয়ে থাকেন। অপেক্ষাকৃত প্রাকৃতিক দূর্যোগ সহনীয় বিভিন্ন জাতের বীজ সরবরাহ করছে সরকার। কৃষিখাতে ভর্তকিসহ নানা ভাবে কৃষককে সহযোগিতা করে কৃষকদের পাশে এ সরকার ছিলো ও ভবিষ্যতেও থাকবে। এবার আকস্মিক বন্যায় অনেক কৃষকই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেকেই জমির ফসল ঠিকমত ঘরে তুলতে পারেননি।
এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাসের কারণে জনজীবন এমনিতেই অতিষ্ঠ। তাই কৃষক ভাইয়েরা অর্থনৈতিক ভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন। তবু বেঁচে থাকার লড়াই থেমে নেই। সরকার এ সময়ে বন্যা পরবর্তীতে কৃষকের জমির ধরণ বুঝে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে বীজ ও চারা বিনামূল্যে প্রদান করার সিধান্ত গ্রহণ করেছে। আমরা সরকারের পক্ষে বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করে তাদের বীজ ও চারা প্রদান করে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেবার চেষ্টা করবো যাতে তারা আবার হাসিমুখে ফসল ফলাতে পারেন। নাগরপুর উপেন্দ্র সরোবরে আয়োজিত কৃষকদের নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ- পরিচালক খামারবাড়ি টাঙ্গাইল কৃষিবিদ মো. আহসানুল বাসার, পরিচালক ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম কৃষিবিদ আজহারুল ইসলাম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পরিচালক খামারবাড়ি টাঙ্গাইল বি এম রাশেদুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল মতিন বিশ্বাস, কৃষিবিদ ইমরান শাকিল সহ স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীরা।