আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২০
রওশন হাবিব, গাইবান্ধা থেকে : গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী নিয়ে চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছে তারা। এসব বানভাসি মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও স্যানিটেশনের সংকট দেখা দিলেও ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ বানভাসিদের।
ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটসহ জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের ঘরবাড়ি থেকে এখনও পানি নেমে যায়নি। ফলে বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া বন্যার্ত মানুষ তাদের গরু ছাগল নিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে পারছে না। এদিকে চরাঞ্চলে কাঁচা ঘরবাড়ি দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত থাকায় অধিকাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অপরদিকে পানি কমতে থাকায় বন্যার্ত মানুষের মধ্যে হাত ও পায়ে চুলকানিসহ নানা ধরণের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সাদুল্লাপুর, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলার ৪৪টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যার কারণে ৩৫ হাজার ৫৫১টি পরিবারের ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৮৬ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলা ত্রাণ দপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বন্যার্তদের মধ্যে ৫১০ মে. টন চাল, ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৫ হাজার ৬৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মঙ্গলবার (০৪ আগস্ট) ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২২ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নেক্সটনিউজ/জেআলম