আপডেট: জুলাই ২১, ২০২০
অমর চাঁদ গুপ্ত, দিনাজপুর থেকে : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় কোরবানীর পশুর কেনাবেচার গোলাপগঞ্জহাটে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। যে যার মতো করেই হাটে পশু বেচাকেনা করছেন। এতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
সরকার কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও মুখে মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের শর্তে দেশের হাটবাজার বিশেষ করে গরু-ছাগল কেনাবেচার হাটগুলোতে কোরবানীর পশু বেচাকেনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশ অমান্য করে গোলাপগঞ্জহাটে ইজারদার সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন ব্যবস্থা করেননি। বিশেষ করে পবিত্র ঈদ উল আযহা’র কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বালাই নেই। গবাদিপশু ক্রেয় ও বিক্রয় কারিদের চলাচল যেন স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে। নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতাদের মুখে নেই মাস্ক, শরীরের সাথে শরীর লাগিয়ে হাটের ভিতর চলাচল করছে। এতে ইজারদারদের কোন মাথা ব্যথা নেই। ফলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।
পশু বিক্রেতা হাসান আলী জানায়, গোরু হাটের ভিতর জনসমাগমের চাপে হেঁটে চলার উপায় নেই। বেশি সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করলে দম বন্ধ হয়ে আসে।
কোরবানি গরু ক্রেতা লিয়াকত জানান, এই ভীড়ে মাস্ক ব্যবহার করা যায়নি। তাই খুলে রেখেছেন।
গোলাপগঞ্জহাটের ইজারদার এম এ খালেক সরকার জানান, প্রতি হাটবারে ক্রেতা- বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। তবে সোমবার (২০ জুলাই) সরজমিন হাটে গিয়ে দেখা যায়, জনগণকে সচেতন করতে নেই কোন প্রচারণা, মাইকিং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ হাট কমিটির সভাপতি মো. আহাতারুল ইসলাম চৌধুরী হেলাল বলেন, আমি হাট কমিটির সভাপতি হলেও আমার সাথে এ বিষয়ে কোন পরামর্শ করা হয় না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনার মাধ্যমে সরকারি বিধি মোতাবেক হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ইজারদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।