আপডেট: জুলাই ১৯, ২০২০
মোঃ আজিজুল হক বাবু, নাগরপুর( টাঙ্গাইল) থেকে : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। হটাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় জমির ফসল ঘরে তুলতে পারেনি কৃষক।বাড়ির উঠানে হটাৎ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে সাধারণ মানুষ করোনাকালীন এ সময়ে সাধারণ মানুষের আয়ের উৎস বন্ধ। জমির পাট, তিল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা কৃষক। এ দিকে ধেয়ে আসছে পানি। বন্যার পানির তোড়ে ভেঙ্গে পরছে বেড়িবাঁধ ব্রীজ কালভার্ট সহ যাতায়াতের কাঁচা পাঁকা রাস্তা। উপজেলার সলিমাবাদ-ধুবড়িয়ার সড়কের ঘুণিপাড়া কালী মন্দির সংলগ্ন বেইলী ব্রীজের সংযোগ সড়কটি একপাশ থেকে ভেঙ্গে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাগরপুর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সলিমাবাদ-ধুবড়িয়া সড়কের বেইলী ব্রীজটি সাম্প্রতিক বন্যার কারণে ভেঙে গেছে ।এতে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। এ সময় মানুষ শহরমুখী হতে পারছে না। জরুরী প্রয়োজনে হাসপাতাল বা অন্য কোন সেবা গ্রহণ করতে পারছে না। ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন দাস বলেন,সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার মানুষ ও সলিমাবাদ, গয়হাটা, বেকড়া ইউনিয়ন বাসীর ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়কের বেইলী ব্রীজটি। কিন্তু ব্রীজটি বন্যার পানিতে ভেসে গেলে শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ।ব্রীজটি দ্রুত মেরামত করে চলাচল উপযোগী করার জোর দাবী জানাই। উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান বলেন,এটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর রাস্তা। এখানে বেইলী ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত পরিদর্শনে চলে এসেছি। আশা করছি দু একদিনের মধ্যে এটি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে তুলতে পারবো।