আপডেট: জুলাই ১৮, ২০২০
রওশন হাবিব, গাইবান্ধা থেকে : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। টানা অবিরাম বর্ষন এবং উজানের ঢলে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। পানি কমতে শুরু করলেও বন্যার্তদের দুর্ভোগ কমেনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফা বন্যায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন চরের কমপক্ষে ১০ হাজার পরিবারের ৪২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হরিপুর চরের ওয়াহেদ আলী জানান, তার ঘরের ভিতরে এখনও হাটু পানি। স্ত্রী, পুত্র, পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, চরাঞ্চলের পরিবারগুলো বিশেষ করে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার জানান, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ইতোমধ্যে বানভাসি মানুষের গৃহপালিত পশুপাখির জন্য খড়ের আটি বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।