৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

 

টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গলাকেটে হত্যা

আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তানকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকালে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ রোডের মাস্টারপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণা জানা যায়নি। তবে হত্যা রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, মো.আব্দুল গণি মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী কাজিরন ওরফে বুচি (৩৭) এবং তাদের ছেলে তাজেল (১৭) ও মেয়ে সাদিয়া (৮)। গণি মিয়া পুরাতন বাইসাইকেলের ব্যবসা করতেন। আর ছেলে তাজেল কলেজ শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা জানান, গণি মিয়া উপজেলার গোলাবাড়ী গ্রাম থেকে এসে মধুপুর পৌর এলাকার মাস্টারপাড়ায় জায়গা-জমি কিনে নতুন বাসা করে বসতি স্থাপন করেন। গত কয়েকদিন ধরে তার বাড়ির গেট তালাবদ্ধ ছিল। সকালে গণির শাশুড়ি বাসার গেটে এসে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেলে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে শোবার ঘর থেকে তাদের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। মা ও মেয়ের লাশ পড়েছিল বিছানার ওপর। অন্য ঘরে বিছানার ওপর পড়েছিল পিতার লাশ এবং আরেক ঘরের খাটের নিচে পা বাধা অবস্থায় পাওয়া যায় কলেজ শিক্ষার্থী ছেলের লাশ।


মধুপুর থানার ওসি মো. তারিক কামাল নয়া দিগন্তকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ডটি দুই/একদিন আগের। হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে পুলিশের বিশেষজ্ঞ টিম কাজ শুরু করেছে। আলামত সংগ্রহ করার পাশাপাশি ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। শুক্রবার লাশগুলো থানায়ই রাখা হবে এবং শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

নিহত গণি মিয়ার শ্যালক জামাল হোসেন জানান, তার বোন জামাই খুব ভালো মানুষ ছিলেন। নিহত ভাগ্নে তাজেল ধনবাড়ীর ভাইঘাট কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনা তদন্ত করেছেন।

 

নেক্সটনিউজ/জে.আলম

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network