আপডেট: এপ্রিল ২৬, ২০২০
নেক্সটনিউজ ডেস্ক : করোনা ঝুঁকির মধ্যেই চালু হলো বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা। ইতোমধ্যে এসব কারখানায় শ্রমিকরাও ফিরে এসেছেন।
রবিবার সকাল থেকে গাজীপুর ও ঢাকায় কারখানায় শ্রমিকদের ফিরতে দেখা যায়। এসব কারখানায় দূরদূরান্ত থেকে শ্রমিকরা আসেন।
লকডাউন পরিস্থিতিতে যেসব শ্রমিক সংশ্লিষ্ট কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন তাদেরকে দিয়েই কারখানা চালুর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো, তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ করছেন শ্রমিকরা।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প উপায়ে দূর-দূরান্ত থেকে গাজীপুর ও ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করছেন শ্রমিকরা।
পুলিশ জানায়, নতুন করে আবারও কারখানা খুলতে শুরু করেছে। রাত থেকেই বিভিন্ন উপায়ে দূর থেকে আসতে থাকেন শ্রমিকরা।
এদিকে ঢাকায় ও গাজীপুরে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। রাজধানীর মালিবাগে সকালে আবুল হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
‘তাহসিন ফ্যাশনস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা উজ্জ্বল বলেন, আমাদের দুই মাসের বেতন দেয়নি কারখানা মালিক। একবার ১৫ এপ্রিল তারিখ দিয়েছিল বেতন দেওয়ার জন্য, কিন্তু দেয়নি। পরে ২৬ এপ্রিল তারিখ দেয়। এখন কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি বিজিএমইএকে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে সালনা-শিমুলতলী আঞ্চলিক সড়ক এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় শ্রমিকদের।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন, যাতে শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কারখানা খোলার ক্ষেত্রে কী ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, তা নিয়ে পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে।
ঐ গাইডলাইন অনুযায়ী, দূরবর্তী এলাকা কিংবা ঢাকার বাইরে চলে যাওয়া শ্রমিকদের বাদ দিয়ে আপাতত কারখানার কাছাকাছি থাকা শ্রমিকদের দিয়ে উত্পাদনকাজ চালানো হবে।
বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক কারখানা খোলার বিষয়টি অবহিত করে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
ঐ চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে খোলা হচ্ছে।