আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২০
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক : ‘সিপিডির গবেষণাটি আসলে কেমন! বর্তমানে দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের সহায়তার আওতায় এসেছে অথচ সিপিডির গবেষণায় সেটি উঠে এলো না, বিষয়টি আশ্চর্যের’ বিস্মিত হয়ে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) বৈশাখের প্রথম সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। পরে মন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিও বার্তা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) মন্তব্য- ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রণোদনা নেই’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী জানান, সরকার ৫০ লাখেরও বেশি পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ত্রিশ কেজি করে চাল দিচ্ছে বছরে সাত মাস। কার্যত ৫০ লাখ পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি মানুষ এ সাহায্য পাচ্ছে। এই সহায়তার সময়সীমা বৃদ্ধির চিন্তা-ভাবনাও করছে সরকার। এছাড়া ১৭ লাখ বিধবা, ৪৪ লাখ বয়স্ক, ১৬ লাখ দুস্থসহ প্রায় এক কোটি মানুষকে বিভিন্ন ধরনের ভাতা দেয়া হয়। করোনার কারণে কর্মহীন জনগোষ্ঠীর জন্য ৭৬০ কোটি টাকাসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, উল্লেখ করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ সব কিছুই প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। কিন্তু আমার কাছে আশ্চর্য লাগছে, সিপিডির মতো একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এ বিষয়গুলো আসলো না!’
গত ১১ বছরে দেশের জিডিপি প্রায় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, মানুষের মাথাপিছু আয় এবং ক্রয় ক্ষমতাও প্রায় তিনগুণ বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ১১ বছরে সিপিডি এই উন্নয়নের কোনো প্রশংসা করতে পারেনি। তাদের যে চিরাচরিতভাবে দোষ খোঁজার চেষ্টা, সে হিসেবে তাদের এই মন্তব্য গতানুগতিক।’
ড. হাছান বলেন, ‘আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। এই বিশেষ পরিস্থিতিতে শুধু সমালোচনার খাতিরে যেন সমালোচনা না করি। সরকারকে পরামর্শ অবশ্যই যে কেউ দিতে পারে, সেই পরামর্শ গ্রহণ করার মানসিকতা সরকারের আছে।’
বক্তব্যের শুরুতে সব গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।